সিডনী সোমবার, ২৯শে এপ্রিল ২০২৪, ১৫ই বৈশাখ ১৪৩১


১০ হাজার ৭৮৯ জন রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করলো সরকার


প্রকাশিত:
১৬ ডিসেম্বর ২০১৯ ০২:৩৭

আপডেট:
১৯ ডিসেম্বর ২০১৯ ০০:৪৬

ফাইল ছবি

প্রভাত ফেরী ডেস্ক: সরকারের হাতে থাকা নথির তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে একাত্তরে রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস বাহিনীর বেতনভোগী ১০ হাজার ৭৮৯ জন স্বাধীনতাবিরোধীর প্রথম তালিকা প্রকাশ করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

একইসঙ্গে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকাও (প্রথম পর্ব) প্রকাশ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নথি পর্যালোচনা করে প্রথম ধাপে ১০ হাজার ৭৮৯ জন রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করা হয় বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েব সাইট www.molwa.gov.bd এ তালিকা পাওয়া যাবে।
রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। এসময় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব আরিফ উর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, আপনারা অবগত আছেন, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী দীর্ঘ ৯ মাস তাদের স্থানীয় দোসর জামায়াতে ইসলামী, মুসলিম লীগ, রাজাকার, আলবদর, আলশামস ও শান্তি বাহিনীর সহায়তায় বর্বরোচিত হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে ৩০ লাখ বাঙালিদের হত্যা করেছে। একই সঙ্গে দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানি করে।

স্থানীয় এসব দোসররা পাকিস্তানিদের সহযোগিতা না করলে এ হত্যাকাণ্ড ও অত্যাচার সংঘটিত হতো না। মুক্তিযুদ্ধে আমাদের বিজয়ও ত্বরান্বিত হতো। এসব সহযোগীদের অনেকেই মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত ছিল।

মোজাম্মেল হক বলেন, ‘একাধিক তালিকাভুক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত একক তালিকা তৈরির কাজ প্রক্রিয়াধীন। এই খসড়া তালিকা উপজেলা থেকে যাচাই-বাছাই সম্পন্ন করে আগামী ২৬ মার্চ চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে।’

এদের বিচারের আওতায় আনা হবে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মোজাম্মেল হক বলেন, ‘এদের নামে মামলা এবং তালিকা প্রকাশ এক বিষয় নয়। আমি জাতির কাছে ওয়াদা করেছিলাম যে, রাজাকারদের তালিকা জনসম্মুখে প্রকাশ করবো। আমি তা শুরু করলাম মাত্র। এটি গেজেট আকারে প্রকাশিত হবে কিনা সেটি সরকারের বিষয়। কারণ, গেজেট প্রকাশ হতে হলে মন্ত্রিপরিষদের অনুমোদন লাগে। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় এককভাবে গেজেট প্রকাশ করতে পারবে না।’

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে মোজাম্মেল হক বলেন, ‘সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুর রহমান বিশ্বাস এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শাহ আজিজুর রহমানের নাম এই তালিকায় নেই। কারণ, তারা রাজাকার, আল-শামসের চেয়েও উচ্চ পর্যায়ের স্বাধীনতাবিরোধী নেতা ছিলেন।’

তিনি বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় দুই শ্রেণির মানুষ ক্যান্টনমেন্টে ছিলেন। এক শ্রেণি ছিলেন যাদেরকে পাকিস্তানি বাহিনী ধরে নিয়ে সেখানে আটকে রেখেছিল। আরেক শ্রেণি ছিলেন যারা নিজেদের সুখ-শান্তি ও নিজেরদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই ক্যান্টনমেন্টে আশ্রয় নিয়েছিলেন। খালেদা জিয়া তাদেরই একজন। এই শ্রেণির লোকদের আমরা স্বাধীনতাবিরোধী বলে অবহিত করবো।’


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top