সিডনী সোমবার, ২৯শে এপ্রিল ২০২৪, ১৫ই বৈশাখ ১৪৩১


একটি পেশাদার প্রশিক্ষিত সশস্ত্র বাহিনী গড়তে চাই: প্রধানমন্ত্রী


প্রকাশিত:
১৬ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৮:৪৭

আপডেট:
১৬ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৮:৪৭

ছবি: মিরপুরে সেনাবাহিনীর সাথে বৈঠকে শেখ হাসিনা

প্রভাত ফেরী ডেস্ক: দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সুদক্ষ ও পেশাদার সশস্ত্র বাহিনী গড়তে সরকারের দৃঢ় প্রত্যয়ের কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, সশস্ত্র বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করতে, যুগোপযোগী করতে চাই এবং একটা পেশাদার প্রশিক্ষিত সশস্ত্র বাহিনী গড়তে চাই।

মিরপুর সেনানিবাসের শেখ হাসিনা কমপ্লেক্সে আজ রোববার সকালে ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্স (এনডিসি)-২০১৯ এবং আর্মড ফোর্সেস ওয়্যার কোর্স (এএফডব্লিউসি কোর্স)-২০১৯–এর গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা চেয়েছিলেন একটা চমৎকার সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তুলতে। তিনি ১৯৭৪ সালে আমাদের প্রতিরক্ষা নীতিমালা দিয়ে গেছেন। তারই আলোকে আমরা ফোর্সেস গোল ২০৩০ প্রণয়ন করে এগিয়ে যাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেনাবাহিনীর জন্য নতুন আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র জোগাড় থেকে শুরু করে ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা, আমরা বিভিন্ন জায়গায় সেনানিবাসও গড়ে তুলেছি নতুন কয়েকটি। যেটা দেশের জন্য যখন প্রয়োজন আমরা সে ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন এবং সেই পদক্ষেপ নিচ্ছি। কারণ আমরা চাই একটা পেশাদার প্রশিক্ষিত সশস্ত্র বাহিনী প্রতিষ্ঠা করতে।

পরিবর্তনশীল বিশ্বে পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়নে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের সশস্ত্র বাহিনীকে আরও শক্তিশালী ও যুগোপযোগী করা হচ্ছে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, ট্রেনিং এবং সমরাস্ত্র সম্পর্কে আমরা যথেষ্ট সচেতন এবং আমাদের সীমিত সম্পদ দিয়ে আমরা সেটা জোগাড় করে দিচ্ছি এবং তৈরি করছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাত্র সাড়ে তিন বছরের শাসনামলে জাতির পিতা একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনকালেই দেশকে স্বল্পোন্নত দেশের পর্যায়ে রেখে যেতে সমর্থ হন। যেখান থেকে এখন উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে গ্র্যাজুয়েশন লাভ করা সম্ভব হয়েছে, যা ধরে রাখতে হবে আগামী ২০২৪ সাল পর্যন্ত। পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার পাশাপাশি ১০ বছর ও ২০ বছর মেয়াদি প্রেক্ষিত পরিকল্পনার বাস্তবায়ন এবং আগামীর প্রজন্মকে সুন্দর জীবন দেওয়ার জন্য নেদারল্যান্ডস সরকারের সহযোগিতায় শতবর্ষ মেয়াদি ‘ডেলটা পরিকল্পনা-২১০০’ প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নের উদ্যোগের ও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘যে দুঃখ ও দারিদ্র্য আমরা দেখেছি, ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে তা যেন আর দেখতে না হয়, সে জন্য আমরা একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়ে রেখে যেতে চাই এবং উন্নয়নের এই ধারাবাহিকতা যেন অক্ষুণ্ন থাকে, সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।’


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top