সিডনী বুধবার, ১৫ই মে ২০২৪, ১লা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


সিসিটিভি ফুটেজ উদ্ধারে পুলিশের সাহায্য চেয়েছি: ঢাবি উপাচার্য


প্রকাশিত:
২৫ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৭:৪২

আপডেট:
১৫ মে ২০২৪ ২২:৩২

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান

প্রভাত ফেরী ডেস্ক: ডাকসু ভবনের সিসিটিভি ফুটেজ গায়েব হওয়ার বিষয়ে ঢাবি প্রশাসন পুলিশের সাহায্য চেয়েছেন বলে জানিয়েছেন উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান। একই সাথে পুলিশ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন বলেও জানান তিনি। মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া সন্তানদের নিরাপত্তা চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে স্মারকলিপি দিয়েছেন উদ্বিগ্ন অভিভাবক ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। তাঁদের সাথে আলাপকালে উপাচার্য একথা বলেন।

স্মারকলিপি গ্রহণের পর তাঁদের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন উপাচার্য। তবে ক্যাম্পাসে সব সংগঠনের সহাবস্থানের নিশ্চয়তা ও ছাত্রলীগের বিতর্কিত ভূমিকার বিচার নিয়ে করা দুটি প্রশ্নের সরাসরি কোনো উত্তর দেননি তিনি।

গত রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ভবনে সহসভাপতি (ভিপি) নুরুল হকের কক্ষে হামলা ও ভাঙচুর চালান ছাত্রলীগ ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের নেতাকর্মীরা। এতে নুরুলসহ অন্তত ৩০ জন আহত হন। এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া নিজের সন্তানদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন অভিভাবক ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা স্মারকলিপি দেন। স্মারকলিপি পড়ে শোনান লেখক ও অ্যাকটিভিস্ট রাখাল রাহা।

স্মারকলিপি পড়া শেষ হলে উপাচার্যকে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন উপস্থিত সাংবাদিকেরা। ডাকসু ভবনের সিসিটিভি ফুটেজ গায়েব হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান বলেন, তাঁরা এ বিষয়ে পুলিশের সাহায্য চেয়েছেন। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দল-মত নির্বিশেষে সব শিক্ষার্থীর সহাবস্থান নিশ্চিতে প্রশাসনের তৎপরতা কেন নেই- রাখাল রাহা এমন একটি প্রশ্ন করলে উপাচার্য তাঁর কোনো জবাব দেননি। বিভিন্ন ঘটনায় ছাত্রলীগের মারমুখী ভূমিকার জন্য সংগঠনটির বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না- এক ব্যক্তির এমন একটি প্রশ্নের উত্তরে উপাচার্য প্রথমে ইতস্তত করেন। পরে তিনি বলেন,‘আশা করি আমরা সবাই দায়িত্বশীল আচরণ করব, যে যেখানেই থাকি। কোনো সংগঠন বা ব্যক্তিকে দায়ী না করি। আমরা যেন নিয়ম-নীতি ও মূল্যবোধের মধ্যে থাকি।’

অভিবাবক ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি দলটি স্মারকলিপিতে উপাচার্যকে যেসকল প্রশ্ন করেন তা হলো- ‘রাষ্ট্রীয় তহবিলের বেতন-ভাতাপ্রাপ্ত স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের প্রধান হয়ে আপনি কেন সরকার দলীয় কর্মকর্তার মতো আচরণ করছেন? আপনি দিন দিন শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে কাজ করছেন কেন? আমাদের সন্তানদের সাথে কেন অশিক্ষকসুলভ আচরণ করছেন?  শিক্ষার্থীদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা ভোগ করে কেন ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারছেন না? হামলার পর কেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না?

উপাচার্যের কাছে নানা প্রশ্ন ও অভিমত জানিয়ে বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক তানজীমউদ্দিন খান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞানের শিক্ষক সাঈদ ফেরদৌস, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন আলোকচিত্র শিল্পী শহিদুল আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রুশাদ ফরিদীসহ অনেকে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেখানে ছিলেন প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানী, সহকারী প্রক্টর বদরুজ্জামান ভূঁইয়া, জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক মাহমুদ আলমসহ কয়েকজন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top