সিডনী বুধবার, ১৫ই মে ২০২৪, ১লা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


চলছে বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ ‘রিং অব ফায়ার’


প্রকাশিত:
২৬ ডিসেম্বর ২০১৯ ২৩:০০

আপডেট:
২৭ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৩:২৩

ফাইল ছবি

প্রভাত ফেরী ডেস্ক: আজ বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে সূর্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। এই সূর্যগ্রহণ পূর্ণ গ্রহণ নয়। বিজ্ঞানীরা বলেন, রিং অব ফায়ার। আবহাওয়াবিদ আরিফ হোসেন জানান, ঢাকায় সকাল ৯টা চার মিনিটে সূর্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। শেষ হবে দুপুর ১২টা ৬ মিনিটে। যেহেতু সূর্য উঠেছে সেহেতু আংশিক দেখা যেতে পারে।

আবহাওয়া অধিদফতরের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় সূর্যগ্রহণ শুরু হয়েছে সকাল ৯টা ৩৬ মিনিটে। শেষ হবে দুপুর ১২টা ৫৯ মিনিটে। সর্বোচ্চ গ্রহণ ১১টা ১৭ মিনিটে। কেন্দ্রীয় সূর্যগ্রহণ শেষ হবে ২টা ৫ মিনিটে।

তবে এই সূর্যগ্রহণ খালি চোখে না দেখার জন্য পরামর্শ দিচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা। এ বিষয়ে আবহাওয়াবিদ আরিফ হোসেন বলেন, খালি চোখে কয়েক সেকেন্ডের জন্য সূর্য গ্রহণ দেখলেও তা রেটিনার ওপর প্রভাব ফেলে। যার কারণে একটা চোখে দৃষ্টিশক্তিও হারাতে পারে মানুষ। পেরিস্কোপে, টেলিস্কোপ, সানগ্লাস বা দূরবীন, কোনও কিছুর সাহায্যে গ্রহণ দেখার সময় সূর্যের দিকে সরাসরি তাকাতে নিষেধ করা হয়েছে। গ্রহণের সময় সূর্য রশ্মি অত্যন্ত সংবেদনশীল থাকে যা চোখে প্রভাব ফেলতে পারে। সানগ্লাস বা ঘষা কাঁচ দিয়েও এই গ্রহণ দেখতে বারণ করেছে নাসা। কারণ এইগুলো নিরাপদ না।

ঢাকা ছাড়া ময়মনসিংহে এই সূর্যগ্রহণ শুরু হয়েছে সকাল ৯টা ৬ মিনিটে এবং শেষ হবে ১২টা ৮ মিনিট ২৪ সেকেন্ডে। চট্টগ্রামে শুরু হয়েছে ৮টা ৫৫ মিনিট ৩৬ সেকেন্ডে এবং শেষ হবে ১১টা ৫৮ মিনিটে। সিলেটে শুরু হয়েছে ৯টা ৩৬ সেকেন্ডে এবং শেষ ১২টা ৩ মিনিটে। খুলনায় শুরু হয়েছে ৯টা ৫ মিনিট ৪২ সেকেন্ডে এবং শেষ ১২টা ৮ মিনিট ৬ সেকেন্ডে। বরিশালে শুরু হয়েছে ৯টা ২ মিনিট ১৮ সেকেন্ডে এবং শেষ হবে ১২টা ৪ মিনিট ৪২ সেকেন্ডে। রাজশাহীতে শুরু হয়েছে ৯টা ১২ মিনিট ১২ সেকেন্ডে এবং শেষ হবে ১২টা ১৪ মিনিট ৩৬ সেকেন্ডে। আর রংপুরে শুরু হবে ৯টা ১২ মিনিট ৪৮ সেকেন্ডে এবং শেষ হবে দুপুর ১২টা ১৫ মিনিট ১২ সেকেন্ডে।

জ্যোতির্বিজ্ঞানী এফ আর সরকার বলেন, ‘আকাশ পরিষ্কার থাকলেও বাংলাদেশ থেকে পুরো সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে না। আংশিক দেখা যাবে।’ তিনি খালি চোখে সূর্যগ্রহণ না দেখার পরামর্শ দেন।

তিনি বলেন, ‘আজকের যে সূর্যগ্রহণ, তাকে বলা হয় এনুলার। এটি পূর্ণ গ্রহণ নয়, অনেকটা রিংয়ের মতো চারদিক দিয়ে আলো বের হবে। এটিকে বলয়গ্রাস বলা হয় বাংলায়। চাঁদ পৃথিবী থেকে ২ লাখ ২২ হাজার মাইল থেকে দুই লাখ ৫২ হাজার মাইল দূরে চলে যায়। যখন চাঁদ কাছে থাকে, তখন সূর্যগ্রহণ পূর্ণ হয়, আর যখন চাঁদ দূরে যায়, তখন গ্রহণ পূর্ণ হয় না, কারণ চাঁদ তখন সূর্যকে পুরো ঢাকতে পারে না। এবার চাঁদ অনেক দূরে চলে গেছে। পুরো ঢাকতে পারবে না। ঢাকবে তবে তার চারদিক দিয়ে সূর্যের আলো দেখা যাবে। রিংয়ের মতো দেখা যাবে।’


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top