সিডনী শুক্রবার, ১৭ই মে ২০২৪, ৩রা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


চাকরির নামে প্রতারণা: র‌্যাবের অভিযানে উত্তরা থেকে ৩০ প্রতারক গ্রেফতার


প্রকাশিত:
২৩ জানুয়ারী ২০২০ ০৮:১০

আপডেট:
১৭ মে ২০২৪ ১৮:০৩

ছবি: সংগৃহীত

প্রভাত ফেরী ডেস্ক: রাজধানীর উত্তরা থেকে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা করে কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া চক্রের ৩০ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। এ সময় প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন নথিপত্র ও সরঞ্জাম উদ্ধারসহ ২০৩ জন ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয়। গত মঙ্গলবার উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।

র‌্যাব জানায়, চক্রটি প্রত্যেক ভুক্তভোগীর কাছ থেকে ৫০ হাজার ৮০০ টাকা করে ১ কোটি ৩ লাখ ১২ হাজার ৪০০ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

র‌্যাব জানায়, গ্রেফতার চক্রের ৩০ সদস্য হলো- বেলায়েত হোসেন, শরীফ, সাইফুল ইসলাম, একরামুল হাসান, গোলাম কিবরিয়া, মহাইমিনুল ইসলাম, সজিব শেখ, তারেক, মিঠুন বিশ্বাস, ফয়সাল আল মাহমুদ, শফিকুল ইসলাম, সুমন সরকার, শান্ত চন্দ্র মিত্র, রেজভী আহম্মেদ, মহসীন হোসেন, লিটন দাশ, হালিম মিয়া, সুমন চাকমা, মেহেদী হাসান, আজিজুর রহমান, আমজাদ হোসেন, পলাশ হোসেন, মোশারফ হোসেন, আজাদ খান, মমিনুর রহমান, কনক মালাকার, সজীব বিশ্বাস, সুমন হোসেন, ইমরান মোল্লা ও শফিকুল ইসলাম।

গ্রেফতাররা মাল্টি লেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) পদ্ধতিতে প্রতারণা করে আসছিল। প্রতারক চক্রটি গ্রামের মধ্যশিক্ষিত বেকার ও নিরীহ যুবকদের চাকরি দেয়ার নাম করে প্রায় এক হাজারেরও বেশি চাকরি প্রত্যাশীদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। এ পর্যন্ত তাদের কাছ থেকে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়ে অনেক পরিবার নিঃস্ব হয়েছে। গ্রেফতার ৩০জনের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করা হয়েছে।

র‌্যাব-৪ এর সিনিয়র এএসপি মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম সজল বলেন, গ্রেফতাররা দীর্ঘদিন ধরে দেশের বিভিন্ন এলাকায় অফিস খুলে প্রতারণার করছে। ওইসব আঞ্চলিক অফিসে বিভিন্ন পদ সৃষ্টি করে লোক নিয়োগ দেয় তারা। চক্রের মাঠ পর্যায়ের সদস্যরা নিজেদের ডিস্ট্রিবিউটর ও মার্কেটিং অফিসার হিসেবে পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন লোভনীয় অফার দিয়ে বেকার যুবক ও তরুণ চাকরি প্রার্থীদের সংগ্রহ করে। পরবর্তীতে এসব চাকরি প্রার্থীদের এক মাসের প্রশিক্ষণ শেষে চাকরিতে যোগ দিতে পারবে বলা হতো।

পরবর্তীতে তাদেরকে ভাইবা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। তথাকথিত ভাইবার পর চাকরিপ্রার্থীর কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নেয় প্রতারক চক্রের জোনাল ম্যানেজাররা। চক্রের ভূয়া প্রধান কার্যালয় এবং চেয়ারম্যান, জিএম ও এজিএমসহ নানান পদে কর্মকর্তা রয়েছে। ভাইবার পর নেয়া টাকা প্রধান অফিসের এজিএম ও জিএমের মাধ্যমে সংগ্রহ করে চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানো হয়। চাকরিপ্রার্থীদের প্রশিক্ষণের জন্য কথিত অন্য জায়গায় পাঠিয়ে দেয়।

চেয়ারম্যান চাকরি প্রার্থীদের প্রশিক্ষণে কিভাবে জনবল বৃদ্ধির মাধ্যমে প্রার্থীরা আর্থিকভাবে লাভবান হবে তার প্রেরণা দিয়ে থাকে। একপর্যায়ে প্রার্থীরা বুঝতে পারে তারা প্রতারিত হয়েছে। টাকা ফেরত চাইলে তাদেরকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। চক্রটি তাদেরকে নতুন সদস্য সংগ্রহের জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। একপর্যায়ে প্রতারক চক্র অফিস গুটিয়ে পালিয়ে যায়। এ চক্রের সঙ্গে জড়িত অন্যদের ধরতে অভিযান চলছে বলে জানায় র‌্যাব।


বিষয়: র‌্যাব


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top