সিডনী শনিবার, ৩০শে মার্চ ২০২৪, ১৫ই চৈত্র ১৪৩০

একা এবং একা (পর্ব বারো) : আহসান হাবীব


প্রকাশিত:
৩১ আগস্ট ২০২০ ২১:২৫

আপডেট:
১ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৩:১১

 

(আহসান হাবীব মূলত একজন প্রফেশনাল কার্টুনিস্ট। তিনি পেশাগত কারণে সাধারনত কমিকস, গ্রাফিক নভেল ইত্যাদি নিয়ে কাজ করেন। তিনি যখন লিখেন তখন তার মাথায় থাকে কমিকস বা গ্রাফিক নভেলের কনটেন্ট। তার গল্পের পিছনে থাকে স্টোরি বোর্ডের মত ছবির চিত্রকল্প। এই কারণেই তার লেখায় একটা সিনেমাটিক ড্রামা থাকে প্রায়শই। তিনি মনে করেন যেকোনো গ্যাজেটেই/ফরম্যাটেই হোক, স্ক্রিনে যে গল্প পাঠক পড়ছে, সেখানে তার সাব-কনসান্স মাইন্ড ছবি খুঁজে। আর তাই ‘প্রভাত-ফেরী’র পাঠকদের জন্য তার এই ধারাবাহিক ইন্ডি নভেল ‘একা এবং একা’)

পর্ব বারো

‘যদি জেল খাটতে না পারো তবে অপরাধ করো না!’

তবে কখনো কখনো অপরাধ না করেও কাউকে কাউকে জেল খাটতে হয়। যাবজ্জীবন জেল খাটতে শুরু করেছে মারুফ। জীবন এরকমই জীবনের প্রথমার্ধ চলে যায় দ্বিতীয় অর্ধ পাওয়ার আশায় আর হয়ত দ্বিতীয়ার্ধ চলে যাবে প্রথমার্ধ হারানোর দুঃখে... কোনটা সঠিক? হয়ত জীবনের পুরোটাই ভুল... তারপরও জীবনের কিছু কিছু ভুল কিন্তু সুন্দর।

তবে না, খুব সুন্দরভাবে জেলখানার জীবন কিন্তু শুরু হল না মারুফের। জেলে ঢুকেই টের পেল একটা ভুল সে করেছে, ইচ্ছে করেই হয়ত করেছে। ভিতরের সাত ফিট লম্বা এক দাগী আসামীকে ক্ষেপিয়ে দিয়েছে। এই লোক যে জেলখানার ভিতরের সব ক্ষমতা নিয়ে বসে আছে, তা কিভাবে জানবে মারুফ। তাকে নজরানা দিতে অস্বীকার করেছে মারুফ। এটাই এখানকার নিয়ম নতুন যে আসামী আসবে তাকে নগদে নজরানা দিতে হবে।

-বসরে নজরানা দাও। একজন কানের কাছে ফিস ফিস করে
-নজরানা নাই আমার কাছে।
-না থাকলে সেই ব্যবস্থাও আছে। মুখে বল দিবা
-না দিব না
-তাইলে তুমি শ্যাষ।  
-বেশ... ।

মারুফ খেয়াল করল জেলখানার ভিতরে যাকে সবাই বস ডাকে লোকটার উচ্চতা সাত ফিট না হলেও সারে ছ ফিট হবে, এটা নিশ্চিত। পেটা শরীর। বস হওয়ার মতই শরীর তার। লোকটার সঠিক নাম কেউ জানে না। লোকটা ক্রুর চোখে মারুফের দিকে তাকিয়ে রইল কিছুক্ষন। তারপর মাছি তাড়ানোর মত একটা ভঙ্গি করে চলে গেল।

প্রথম দিন দুপুরে খাওয়ার সময়  খিচুরী আর সব্জির মত কিছু পরল তার পাতে। লাইন ধলে থালা হাতে খাবার সংগ্রহ করতে হয়। বিশাল ডেকচির ভিতর থেকে একজন হাতলওলা প্রমান সাইজের চামচে তুলে তুলে দিচ্ছে একজন একজন করে। একটু দূরে দাড়িয়ে আছে সেই বস। তার দাড়িয়ে থাকার ভঙ্গিতে মনে হয় সারে ছ’ ফিট উপরে সতর্ক এক জোড়া সিসি ক্যামেরা পর্যবেক্ষন করছে বাকি আসামীদের।      

তৃতীয় দিনে থালা পাততেই পরিবেশনকারী তাকাল পিছনে দাড়ানো সাড়ে ছ’ফিট বসের দিকে। কিছু একটা নির্দেশের জন্য মনে হল। বস মাথা নাড়ল। লোকটা নিচু হয়ে বিশাল ডেকচির আড়াল থেকে একটা কিছু তুলে মারুফের থালায় রাখল। মারুফ খেয়াল করল পলিথিনে প্যাঁচানো কিছু। আশপাশ থেকে একটা হাসির হুল্লোর উঠল। মারুফ প্রথমটায় বুঝতে পারল না। একটু পরেই টের পেল তার থালায় খাবার দেয়া হয়নি। দেয়া হয়েছে পলিথিনে করে ড্রেনের নোংরা পূতিগন্ধময় কুৎসিত ময়লা।

পর পর তিনদিন একই ঘটনা ঘটল। তিন দিন না খেয়ে থাকার ট্রেনিং আছে মারুফের। তার কোরিয়ান ট্রেনার হো চি কিম তাকে শিখিয়েছিল। বলেছিল- ক্ষুধা বায়োলজিক্যালি হয়ত পেটে কিন্তু মনে রাখবে মূল ক্ষুধা নিয়ন্ত্রন করে মস্তিস্ক। মস্তিষ্ককে বোঝাও তুমি মোটেই ক্ষুধার্ত না।  তবে এই তিনদিন মারুফ একেবারেই যে কিছু খায় নি, তা ঠিক না। একজন আসামী, লোকটা বয়স্ক। চোখে চশমা। হটাৎ করে দেখলে মনে হয় কোনো কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক , কোন কারণে জেল খাটছে। সেই লোক তার পকেটে একদিন একটা পেয়ারা আর একদিন একটা আপেল ঢুকিয়ে দিয়েছে আলগোছে।

আরেকটা ঘটনা ঘটেছে। তিনদিন ধরে সে আছে ফাঁসির আসামীর একটা বিচ্ছিন্ন সেলে। একা। এটা হওয়ার কথা না। তার ফাঁসির রায় বাতিল হয়ে যাবজ্জীবন হয়েছে। জোড়া খুন প্রত্যক্ষ প্রামাণিত হয়নি, পরোক্ষভাবে প্রমানিত। হয়তবা সাড়ে ছ’ফিট বস একটা মানসিক চাপ তৈরী করার চেষ্টা করছে মারুফের উপর। তবে জেলের ভিতরে লোকটার যে অনেক ক্ষমতা তা বেশ ভালই বোঝা যাচ্ছে।

মারুফ শূণ্য সেলে বসে থেকে খেয়াল করল। সন্ধ্যা হলেই কিছু নাদুস নুদুস ধারী চিকা ঢুকতে শুরু করে সেলের ভিতর।  কিচ কিচ করে ঘুরে বেড়ায় কিছুক্ষন তারপর ফের ঢুকে যায় গর্তে। মারুফ ডান পায়ে লাথি মেরে দুটো চিকা মারল। তারা যে খুব সহজে মরল তা বলা যাবে না। তাদের ছুটে চলার গতি আর মারুফের ডান পা’র সিনক্রোনাইজেশন হতে সময় লাগল বটে।  

পরদিন দুপুরের খাবারের সময় লাইন দিয়ে খাবার নিতে মারুফ গেল না। বসে রইল জেলখানার ভিতরে আম গাছটার নিচে। এই সময়টা সবাই ইতস্তত বসে বিশ্রাম নেয় বা খাবার নিয়ে এসে এখানে সেখানে বসে খায়। খুবই অলস একটা মুহুর্ত। কিন্তু আজ হঠাৎ হই চই শুরু হল।

একটু পরেই খবর ছড়িয়ে পড়ল। খাবারের খিচুরীর  ডেকচির ভিতরে দুটো বেশ নাদুস নুদুস মরা চিকা পাওয়া গেছে। কেউ খাবার খাচ্ছে না। দু তিনজন ক্ষেপে গিয়ে পরিবেশনকারীকে থালা দিয়ে পিটিয়ে ধরাশায়ী করেছে। বেশ ভালই হই চই শুরু হয়েছে চারদিকে। জেলার সাহেব ছুটে এসেছেন ফোর্স নিয়ে, ঘটনা বুঝতে।

মারুফ টের পেল তার পাশে এসে বসেছে সেই চশমা পরা বয়স্ক ভদ্রলোক, যাকে দেখলে কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর মনে হয়। মুখটা হাসি হাসি।

-বুদ্ধিটা চমৎকার
-কোন বুদ্ধি?
-আজকে যেটা ঘটল।

হাসি মুখে মাথা ঝাকালো মারুফ।

-মরা চিকা কোথায় পেলেন?
-আমার সেলে ওরা আসত প্রতিদিনই
-বেচারারা...!

প্রফেসর সাহেব কাকে বেচারা বললেন বোঝা গেল না, চিকাদের না ঐ সাড়ে ছ’ফিট বসের  লোকজনদের। তখনও হই চই চলছে। কাচ ভাঙার শব্দ হল, সেন্ট্রিদের হুইসেল। সব মিলিয়ে জটিল এক সাউন্ডস্কেপ তৈরী হয়েছে জেলখানার ভিতর। 

 

বৃহস্পতিবার ক্লাশ নাইনের শেষ পিরিয়ডে ড্রইং ক্লাশ। ক্লাশ নেন ঢালি স্যার। নতুন যে তিনজন স্যার নেয়া হয়েছে তিনি তাদের একজন। স্যার ঢুকেই বললেন

-আজ তোমরা ল্যান্ডস্কেপ আঁকবে। মানে দৃশ্য আঁকবে...
-স্যার গ্রামের দৃশ্য না শহরের দৃশ্য?
-যার যেটা ভাল লাগে। সেটাই আঁকো
-স্যার আমাদের শহরের দৃশ্য আঁকি?
-আঁকো। আমিও বোর্ডে একটা দৃশ্য আঁকছি... তোমাদের ধারনা দেয়ার জন্য। একটা দৃশ্যে কি কি থাকা উচিৎ সেটা বোঝানোর জন্য। কিন্তু আমারটা তোমরা আঁকবে না। তোমরা তোমাদের মত করে আঁকো
-জি স্যার। সবাই এক সাথে চেঁচালো।

 

এই সময় শেষ বেঞ্চের মজনু হাত তুললো। ‘ স্যার...?’

-মজনু কিছু বলবে?
-জি স্যার
-বল
-স্যার সাউন্ডস্কেপ কি? ঢালি স্যার একটু অবাক হলেন। এই প্রশ্ন ক্লাশ নাইনের ছাত্রের কাছ থেকে আশা করা যায় না। শেষ বেঞ্চে যারা বসে তারা সবসময় মেধাবী না হলেও তাদের পর্যবেক্ষন ক্ষমতা বেশী। কারণ তারা পেছন থেকে পুরো ক্লাশ দেখতে পায়। তাদের ভিশন মাছের মত। কিংবা বলা যায় ওয়াইড এ্যাঙ্গেল ফিস আই লেন্সের মত তারা দেখে, হয়ত পেছনে বসে তারা অন্যদের থেকে শোনেও বেশী। এটা অবশ্য ঢালি স্যারের নিজস্ব ধারনা।
-আমরা চোখে যেটা দেখি সেটা ল্যান্ডস্কেপ। আর কানে যেটা শুনি সেটা সাউন্ডস্কেপ। একটা উদাহরণ দেই... যেমন ধর তোমাদের প্রত্যেকের বাসার একটা নিজস্ব সাউন্ডস্কেপ কিন্তু আছে। তুমি যদি রাত বারোটার পর তোমার বাসার শব্দগুলো খেয়াল করো তাহলে কি কি শুনবে? যে শব্দগুলো তুমি দিনে শুনতে পাও না?
-স্যার বাবার নাক ডাকার শব্দ। সবাই হেসে উঠল।
-স্যার ঘড়ির টিক টিক শব্দ  

-ফ্রিজের শো শা শব্দ
-চিকার কিচ কিচ শব্দ, রাত হলে ঘরের মধ্যে চিকা ঢুকে স্যার
-স্যার ঝি ঝি পোকার শব্দ...
-স্যার টিকটিকির ডাক শোনা যায়
-স্যার বাথরুমের কলের পানি পরার টিপ টিপ শব্
-হ্যাঁ এসবই হচ্ছে তোমার যার যার বাসার সাউন্ডস্কেপ। ঢালি স্যার খেয়াল করলেন কেউ ল্যান্ডস্কেপ আঁকছে না বরং সবাই সাউন্ডস্কেপ নিয়ে অতি উৎসাহী। এই করতে করতে ঘন্টা পরে গেল। কারো ল্যান্ডস্কেপ আর আঁকা হল না। সবাই হই চই করতে করতে ছুটলো বই খাতা নিয়ে। আজ বৃহস্পতিবার ,স্কুল হাফ, ছুটির ঘন্টা বেজে গেছে।

 

ঢালি স্যার টিচার্স রুমে এসে শুনেন বেশ হইচই হচ্ছে। কারণ আজ মাসের দশ তারিখ এখনো কারো বেতন হয় নি। হেড স্যারের কোনো খবর নেই। অথচ স্যালারী শিটে সাইন নেয়া হয়েছে দু সপ্তাহ আগে। এসিসটেন্ড হেড স্যার আব্দুর রহমান গলার রগ ফুলিয়ে চেচাচ্ছেন।

-কুদ্দুস তোমার চাচা কই? কুদ্দুস একটু ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেল যেন, হঠাৎ এই আক্রমনে।
-উনার গ্রাম আর আমার গ্রাম দূর আছে। উনি আমার আপন চাচা না।
-খোঁজ লাগাও কই গেল উনি?

-খোঁজ লাগাইছিলাম উনি বাড়িত যান নাই, আমার মনে হয়...
-কি মনে হয়? কুদ্দুস ভিতরে ভিতরে সতর্ক হয়ে গেল। তারপর দম নিয়ে বলল ‘ আমার মনে হয় স্যারে বেতনের টাকা লয়া ভাগছে ...!’

 

টিচার্স রুমে যেন বোম ফাটাল কুদ্দুস। সবাই ঘুরে তার দিকে তাকাল!

-কি বলছ তুমি!
-হেড স্যারে আমারে একদিন বলছিল তার অনেক বিপদ অনেক টাকার দরকার।
-টাকাতো তুমিই তুলছিলা?
-জি স্যার
-কত টাকা তুলছিলা?
-তিন লাখের মত। আমার সাথে তৈয়বও ছিল। তৈয়বকে ডাকা হল। সে নিশ্চিত করল। চামড়ার ব্যাগে ভরা তিন লাখ টাকা সে আর কুদ্দুস হেড স্যারের হাতে তুলে দিয়েছে।
-মজিদ স্যারকে ব্যাগ নিয়ে বের হতে দেখছ পরে?
-কইতে পারুম না। স্যারে চাদর পরা ছিল। তৈয়ব বলে
-গরমের দিনে চাদর! মাসুমা ম্যাডাম স্বগোক্তি করে।
-আচ্ছা তোমরা যাও। রহমান স্যার থমথমে গলায় বলে।

কুদ্দুস বাইরে এসে খুব সাবধানে বুকের ভিতর চেপে থাকা শ্বাসটা বের করে। এখন বেতন না পাওয়ার অজুহাতে তাকে চাকরী ছাড়তে হবে। খুব তাড়াতাড়িই কাজটা করতে হবে, চারদিক থেকে সে গুছিয়ে আনতে শুরু করেছে। স্যার ম্যাডামরাও সব টিচার্সরুম খালি করে বের হতে শুরু করেছে।

স্যার-ম্যাডামদের বেতন নেই, হেড স্যারের নিরুদ্দেশ... আজ এত ঘটনার পরও কেন যেন মনিকা ম্যাডামের বেশ ভাল লাগছে। ভিতরটা ফুরফুরে লাগছে। এর কারণ কি পত্রিকার ভিতরের পাতায় ছোট্ট একটা খবর? মারুফ রহমানের ফাঁসির রায় রদ হয়ে যাবজ্জীবন হয়েছে! আহা বেঁচে থাকুক সবাই। মানুষ কি বাঁচার জন্য জন্মায়... না মৃত্যুর জন্য? বাসার পথে হাঁটতে হাঁটতে ভাবে মনিকা। ইদানিং তার মাথায় মাঝে মাঝে বেশ উচ্চ চিন্তা আসে, কেন কে জানে। নিজে নিজেই ফিক করে হেসে ফেলে মনিকা ম্যাডাম। 

এই সময় ঝির ঝির করে বৃষ্টি শুরু হয়। এটাকে কি বৃষ্টি বলে ইলশেগুড়ি বৃষ্টি? সন্ধ্যায় কি আর ইলশেগুড়ি বৃষ্টি হয় নাকি। রাস্তার ধারে রেনট্রি গাছের নিচে কাঠের বেঞ্চটায় একটু বসে গেলে কেমন হয়?    

জেলখানার ভিতরে সেই আম গাছ চত্ত্বরে বসে আছে মারুফ। এই সময় তার সামনে এসে দাড়াল একটা ছায়া। মধ্যাহ্নের সীমিত ছায়া। যার ছায়া লোকটা সাড়ে ছ’ফিট কিন্তু মধ্য দুপুরের তেজি সূর্য তার দীর্ঘ ছায়াটাকে সাড়ে ছ’ইঞ্চির মধ্যে নিয়ে এসেছে। মারুফ শরীরটাকে সিথিল করে অপেক্ষা করে। লোকটার দাড়ানোর ভঙ্গি দেখে বোঝা যাচ্ছে সে আক্রমন করবে। লোকটা বোকা হলে এখনই আক্রমন করবে আর যদি বুদ্ধিমান হয় তাহলে এখন করবে না, সময় নিবে। মারুফ মাথা তুলে তাকাল লোকটার দিকে সরাসরি। লোকটার চোখ দেখে এই মুহুর্তে ঠিক বোঝা যাচ্ছে না সে বোকা না বুদ্ধিমান...! 

(চলবে) 

একা এবং একা - পর্ব এক
একা এবং একা - পর্ব দুই
একা এবং একা - পর্ব তিন
একা এবং একা - পর্ব চার
একা এবং একা - পর্ব পাঁচ
একা এবং একা - পর্ব ছয়
একা এবং একা - পর্ব সাত
একা এবং একা - পর্ব আট
একা এবং একা পর্ব- নয়

একা এবং একা - পর্ব দশ
একা এবং একা - পর্ব এগারো

লেখক: আহসান হাবীব
কার্টুনিস্ট/ সম্পাদক
উম্মাদ, স্যাটায়ার কার্টুন পত্রিকা
 

এই লেখকের অন্যান্য লেখা



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top