সিডনী শুক্রবার, ১০ই মে ২০২৪, ২৭শে বৈশাখ ১৪৩১


‘একতরফা সিদ্ধান্ত দিতে যুক্তরাষ্ট্র পারবে না’


প্রকাশিত:
৮ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৪:৫৭

আপডেট:
১০ মে ২০২৪ ১৭:৫২

ওবায়দুল কাদের

 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে এমন আভাস পাওয়া যাচ্ছে। এ বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেছেনন, যুক্তরাষ্ট্র চাইলেও একতরফা সিদ্ধান্ত দিতে পারবে না।
দক্ষিণ এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের যে বন্ধুরা আছে তারা কিন্তু বাংলাদেশের ব্যাপারে একতরফা কোনো সিদ্ধান্ত দেওয়ার ব্যাপারে একমত না।’ গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে এমন কথা জানান ওবায়দুল কাদের।
শ্রম অধিকার সুরক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শ্রমনীতিতে বাংলাদেশ কোনো নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়লে পণ্য না নেওয়া কিংবা অর্থ পরিশোধ না করার শর্ত যুক্ত করে তৈরি পোশাকের ঋণপত্র দিয়েছে একটি ক্রেতাপ্রতিষ্ঠান । বিষয়টিতে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলন, ‘প্রধানমন্ত্রী (শেখ হাসিনা) নিজেই বলেছেন যারা আমাদের নিষেধাজ্ঞা দেবে, তাদের থেকে আমরাও কোনো পণ্য কিনব না।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিদেশে আমাদের অনেক বন্ধু আছে, তারা সবাই জানে এখানে (বাংলাদেশে) কী অবস্থার মধ্যে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য প্রধানমন্ত্রী এ নির্বাচন করছেন।’
পোশাকখাতে মার্কিন ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের নতুন শর্তের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, যুক্তরাষ্ট্র চাইলেও একতরফা কিছু করতে পারবে না। যুক্তরাষ্ট্রের ইউরোপ এবং এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকার বন্ধু দেশগুলো বাংলাদেশের বিষয়ে চরম কোন সিদ্ধান্ত নিতে এখন আর পক্ষপাতী নয়।
তিনি বলেন, আমরা বিদেশে বন্ধুহীন নই। তারা জানে বাংলাদেশে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষায় শেখ হাসিনা কিভাবে নির্বাচন করছেন। দেশে যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় সে জন্য নির্বাচন করছেন। জনগণের ভোটের মাধ্যমেই সরকারি ও বিরোধী দল আসবে।
দ্বাদশ নির্বাচনের আগে জাতীয় পার্টির (জাপা) সঙ্গে আগামী নির্বাচনে আসন ভাগাভাগি নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি বলে দাবি করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এ সময় তিনি বলেন, রাজনৈতিক আলোচনাই ছিল মুখ্য। আসন ভাগাভাগির বিষয়টা আমি জানি না। আসন ভাগাভাগি হয়েছে এমন কোনো আলোচনাও হয়নি।
জাতীয় পার্টির সাথে আলোচনা করার কথা জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আলোচনা হয়েছে নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে নির্বাচনমুখী দলগুলোর সমন্বয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে নাশকতা-গুপ্ত হামলার মতো নির্বাচনবিরোধী অপকর্ম প্রতিহত করা নিয়ে। এটাই আমাদের আলাপ-আলোচনার মূল বিষয় ছিল।
জাতীয় পার্টি দল হিসেবে অনেক কথাই বলতে পারে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, রাজনৈতিক দলের হিসেবে নিজেদের শক্তিমত্তা প্রদর্শন করতে তারা তো চাইবেই। বাস্তবে কী হবে সেটি পরে দেখা যাবে। চাইতে তো কোনো দোষ নেই, আশা বড় থাকাই ভালো।
জাতীয় পার্টির সঙ্গে আলোচনা নিয়ে লুকোচুরির কারণ জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, লুকোচুরির বিষয় না। এটা নিয়ে এত ঢাক- ঢোল পেঠানোর কী আছে? নির্বাচনমুখী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমন্বয় থাকা দরকার। কারণ, নির্বাচন বিরোধী শক্তিরা যে অপরাজনীতি করছে, সেটি মোকাবিলার জন্য আমাদের মধ্যে একটা সমন্বয় করা দরকার। কারণ, নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ করা, নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য করা, নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু করার অঙ্গীকার আমাদের রয়েছে। এ জন্য আমরা আলাপ-আলোচনা করছি। এখানে লুকোচুরির কোনো ব্যাপার না।
তিনি বলেন, নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, বিএনপি ততই নির্বাচন বানচালে মরিয়া হয়ে উঠছে। তাদের নাশাকতার মাত্রা আরো বিস্তৃত হতে পারে। মুরগির বাচ্চাও তাদের টার্গেট। নাশকতা, গুপ্ত হামলার ভয়াবহ যে চিত্র তা রেকর্ড স্থাপন করছে। গতকাল পর্যন্ত ছয়শ গাড়ি ভাংচুর করেছে, ১০ টি রেলে আগুন দিয়েছে।
আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রসঙ্গ এ সময় দলটির ওবায়দুুল কাদের বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেও তার জেতার অধিকার আছে। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা যদি জনগণের ভোটে জিতে যায়, সেখানে আমাদের কিছু করার নেই। এ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদেও আরো বলেন, নির্বাচন হবে ফেয়ার প্রতিযোগিতামূলক, এখানে কোনো মারামারি সংঘাত নেই।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই বেপরোয়া হয়ে উঠছে বিএনপি। নির্বাচনকে সামনে রেখে তারা মরণ কামড় দিতে চায়। যারা নির্বাচনমুখী তাদের নিয়ে বিরোধীদের নাশকতা প্রতিহত করা হবে।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, আ. ফ. ম. বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক ও উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।

 


বিষয়: জাতীয়


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top