সিডনী রবিবার, ২৮শে এপ্রিল ২০২৪, ১৫ই বৈশাখ ১৪৩১

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা (পর্ব- ৮) : সেলিনা হোসেন


প্রকাশিত:
১১ আগস্ট ২০২২ ০২:২৩

আপডেট:
১৭ আগস্ট ২০২২ ০১:২৮


রাত হয়ে গেলে সবাই ভাত খেয়ে শুয়ে পড়ে। সকালে সবার আগে ওঠে মায়ারাণী। পোটলাগুলো বারান্দায় গুছিয়ে রাখে। সকালে সবাই মিলে পান্তাভাত খেয়ে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য তৈরি হয়। এমন সময় পাকিস্তানি দালাল পাঁচজন বাড়ি লুট করতে আসে। ওদের সবাইকে চেনে মায়ারাণী। বেঁটে মোহসিন আলী সবার সামনে। ও বারান্দার একটি পোটলা ধরে টান দিয়ে মাথায় উঠালে মায়ারাণী ধানের গোলার নিচ থেকে গাছকাটা দা নিয়ে রুখে দাঁড়িয়ে তাড়া করে ওদের। মোহসিন আলীর কাঁধে দায়ের কোপ মারে। মাথা থেকে পোটলা পড়ে যায়। মায়ারাণী রুদ্রমূর্তিতে অন্যদের তাড়া করলে বাকি সবাই দৌড়ে পালায়। ওরা চলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘরের দরজায় তালা দিয়ে হরেন্দ্রনাথ বলে, চলো এক্ষুণি বেরিয়ে যাব। সবাই মিলে পোটলাগুলো মাথায় উঠায়, হাতে নেয়। তারপর দ্রæতপায়ে নদীর ধারে এসে পৌঁছায়। অজয় মাঝি তৈরি ছিল। সবাই উঠলে নৌকা ছেড়ে দেয়। মায়ারাণী পোটলাগুলো গুছিয়ে একপাশে রাখে। হরেন্দ্রনাথ হাত-পা ছড়িয়ে বসে। বারবার গ্রামের দিকে তাকায়। এখন পর্যন্ত কোথাও আগুন দেখা যায় না। নিজের বাড়ির কথা ভেবে আস্থির থাকে হরেন্দ্রনাথ।
- বাবাগো, কি সুন্দর লাগছে নৌকায় করে যেতে। আমরা কতদূর যাব বাবা?
- অনেকদূর। ভদ্রা নদীর পরও তিনটা নদী পার হতে হবে আমাদেরকে। এখন চুপ করে বসে থাক তোমরা। আর কথা বলবে না।
হরেন্দ্রনাথ চারদিকে তাকিয়ে দেখতে পায় সামনে-পেছনে আরও বেশকিছু নৌকা আছে। সবাই বোধহয় শরণার্থী হবে। সব নৌকায় পরিবার আছে। এমন সময় দেখতে পায় দূর থেকে আসছে গানবোট। হরেন্দ্রনাথ আজয় মাঝিকে বলে, তুমি একদম নদীর ধারে চলে যাও। দরকার মনে করলে আমরা তীরে নেমে যাব।
অজয় মাঝি দ্রæত নৌকা চালিয়ে নদীর কিনারে চলে যায়। কিছুক্ষণ পরে খেয়াল করে গানবোট থেকে গুলি করছে। পেছন থেকে আসা দুটো ছোট নৌকার সবাই গুলিবিদ্ধ হলে নৌকা ডুবে যায়। পানিতে ডুবে যায় লাশ।
এই দৃশ্য দেখে মায়ারাণী কেঁদে ফেলে। বুকের ভেতরে হাহাকার ছোটে। চোখের সামনে মৃত্যু দেখা জীবনে এই প্রথম। বীথিকাও ডুবতে থাকা লাশের দিকে তাকিয়ে থাকে। হরেন্দ্রনাথ ভাবে, আমার হাতে বন্দুক থাকলে ওদেরকে গুলি করতাম। শয়তানগুলো এভাবে মানুষ মারছে।
- আহ থাম। মায়ারাণী হাত চেপে ধরে।
- থামব কেন? ওরা আমাদেরকে মারবে, আর আমরা সবাই শুধুই মরব।
- তোমারতো অস্ত্র নাই। ট্রেনিং নাই। এসব থাকলে বলতাম যুদ্ধ কর।
- দেখি ভারতে গিয়ে ট্রেনিং নিতে পারি কিনা।
অজয় মাঝি নৌকা বাইতে বাইতে বলে, আপনারা আমার লম্বা নৌকায় শুয়ে পড়েন। দূর থেকে যেন আপনাদের দেখা না যায়।
- ঠিক বলেছ অজয়। এই শুয়ে পড়ছি সবাই।
বীথিকা ভাইদের শুইয়ে দেয়। তারপর নিজেও শুয়ে পড়ে। হরেন্দ্রনাথ, মায়ারাণীও গুটিসুটি হয়ে শুয়ে পড়ে। দূর থেকে তাদেরকে সরাসরি দেখা যাবে না। অজয় মাঝি ভদ্রা নদী পার হয়ে সুন্দরবনের কোল ঘেঁষে বয়ে যাওয়া শিবসা নদীতে ঢোকে। সুন্দরবন দেখে উঠে বসে বীথিকা। এই বন দেখা মানে ওর প্রাণের টান পূরণ করা। বিকেলের নরম আলোয় চারদিক ফুলের মতো ফুটে আছে। হঠাৎ ও খেয়াল করে তীব্র গতিতে গানবোট চালিয়ে দিলে যাত্রীবাহী ছোট নৌকা ঢেউয়ের তোড়ে ডুবে যায়। পাকসেনারা কোনো কোনো নৌকা গুলি করে ডুবিয়ে দেয়। নদী দিয়ে ভেসে আসতে থাকে লাশ।
বিথীকা শব্দ করে কেঁদে ফেলে। হরেন্দ্রনাথ আর মায়ারাণী মাথা তুলে বলে, কি হয়েছে রে?
- নদীর ¯্রােতের সঙ্গে লাশ ভেসে আসছে।
- ওহ - শব্দ করে দুজনে মুখ ঢাকে।
একটুপরে মায়ারাণী বলে, অজয় আমাদের নৌকা নদীর ধারে রাখ। আমরা বনে নামব।
- হ্যাঁ, খুব ভালো হবে। নামেন।
অজয় মাঝি নেমে নৌকাটা একটি ছোট গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে। সবাই মিলে নেমে যায়। ভাত-তরকারির হাঁড়ি নামানো হয়। থালা-গøাস জলের জগ নামিয়ে সবাই এক জায়গায় বসে। বীথিকা দাঁড়িয়ে বলে, আমি একটু বনের ভেতর থেকে ঘুরে আসি।
- দিদির সঙ্গে আমরাও যাব।
- না, তোরা এদিকে যাবিনা। তোরা ওইদিকে যা। আমি একা যাব।
- আচ্ছা। আমরা যাচ্ছি।
তিনভাই একসঙ্গে দৌড়ে বনে ঢুকে যায়। বীথিকা মাকে বলে, মা তুমি আমার সঙ্গে আস। আমি আড়াল করে দাঁড়ালে তুমি পেসাব করবে।
- হ্যারে চল।
মায়ারাণী উঠে দাঁড়ায়। হরেন্দ্রনাথ বলে, তোমরা এলে আমি যাব। আমি খাবারগুলো পাহারা দিচ্ছি।
- হ্যাঁ, তুমি থাক। আমি তাড়াতাড়ি চলে আসব। বীথিকা মায়ের হাত ধরে বনে ঢুকে যায়। পায়ের নিচে ঝরাপাতার মচমচ শব্দ হয়, মাথার ওপর সবুজ পাতার ছাউনি আর পাখিদের কূজন যুদ্ধের সমান্তরাল হয়ে ওঠে। দুজনেই ভাবে, এই সুন্দরবন আমাদের। এখানে সেনাবাহিনী ঢুকতে পারবেনা। ঢুকলে মেরে ছারখার করা হবে। কিন্তু কিভাবে? সে ভাবনা দুজনের মাথায় আসে না। দুজনে ভাবনা থেকে আড়াল হয়ে যায়। ভাবে অকারণ ভাবনায় কাজ হবে না।
সন্ধ্যার আগে সবাইকে ভাত খেতে দেয় মায়ারানী। বলে, এটা রাতের খাবার। রাতে নৌকায় খাওয়ার ব্যবস্থা হবেনা। এখন পেট ভরে খেয়ে নাও সবাই। অজয় তুমিও এই পাশে বসো। তোমাকেতো নৌকা বাইতে হবে। আমি যতক্ষণ পারি তোমার সঙ্গে জেগে থাকব। বাচ্চারা ঘুমাবে। তোমার বেশি কষ্ট হয়ে গেলে বীথিকার বাবাও নৌকা বেয়ে তোমাকে সহযোগিতা করবে।
হরেন্দ্রনাথ মাথা নেড়ে বলে, হ্যাঁ, ঠিক বলেছো। বাবারা খেতে বসো।
অমল বলে, আমার যদি রাতে খিদা পায়?
- বিস্কুট খেতে দেব।
- হ্যাঁ, খাব খাব।
তিন ছেলে একসঙ্গে চেঁচিয়ে কথা বলে। বনের পাখিদের কূজন ভেসে আসে। ভাত খেয়ে সূর্য ডোবার আগে নৌকায় ওঠে সবাই। অজয় মাঝি নৌকা বাইতে শুরু করে। এভাবে রাতের অন্ধকারে নদীপথ পার হয় সবাই। আশেপাশে ছোট ছোট অনেক নৌকা আছে। মাঝে মাঝে জয় বাংলা ধ্বনি ভেসে আসে নৌকা থেকে। হরেন্দ্রনাথ নিজেও জয় বাংলা ¯েøাগান দেয়। সঙ্গে বীথিকা, মায়রানীও ¯েøাগান দেয়। রাত বাড়ে। নদীপথে অন্ধকার গাঢ় হয়। তারপর চাঁদের হালকা আলোয় নৌকা চালায় অজয়। মায়ারাণীর মনে হয় দেশ ছেড়ে যেতে হচ্ছে অন্য দেশে বেঁচে থাকার জন্য। দেশের এই নদী, রাতের আকাশ, অজয় মাঝির মতো সাহসী মানুষ রাতের অন্ধকারে নদী পার করে দিচ্ছে! এমন সুন্দর জীবনের স্বপ্ন নিয়ে ফিরে আসবে স্বাধীন দেশে। বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার স্বপ্ন পূরণ করবে এ দেশের সাহসী মানুষেরা। মায়ারাণী সবার মুখ থেকে শোনা ¯েøাগানটি উচ্চারণ করে - ‘বীর বাঙালি অস্ত্র ধরো - বাংলাদেশ স্বাধীন করো।’
বাতাসে ভেসে যায় তার কন্ঠস্বর - নদীর ¯্রােতে মিশে যায় কন্ঠস্বর। হরেন্দ্রনাথ শুয়েছিল। ¯েøাগান শুনে সঙ্গে সঙ্গে উঠে বসে বলে, ¯েøাগান দিচ্ছ?
- হ্যাঁ গো, ¯েøাগান দিয়ে ভরিয়ে দেব এই অপরূপ দেশ। মানুষেরা সবাই মিলে যুদ্ধ করবে।
- আমরা কি করব?
- আমরাও দেখব কি সহযোগিতা করা যায়?
- তা ঠিক, শুধুতো অস্ত্র হাতে যুদ্ধ না, যুদ্ধের নেপথ্যেও অনেক কাজ থাকে।
- যে মুক্তিযোদ্ধারা আহত হবে তাদের সেবা করব আমি।
- মায়ের সঙ্গে আমিও সেবার কাজ করব। আর যদি অস্ত্র চালানো শিখতে পারি তাহলে পাকসেনাদের মারব। ওরা যেভাবে গানবোট নিয়ে যায় তখন গাছের আড়ালে লুকিয়ে থেকে ওদেরকে গুলি করব।
- সাবাস, আমার মা। দেখি ভারতের কোথায় ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা আছে। তোকে সেখানে নিয়ে যাব।
- বাবা, নদীর ¯্রােতের সঙ্গে ভেসে আসা লাশ দেখে আমি মর্মাহত। আমার মনে হয় আমার শক্তি ফুরিয়ে যাচ্ছে। একসঙ্গে এত মৃত মানুষ দেখতে হচ্ছে।
- এসব নিয়ে এত ভাবিসনা মা। মনে সাহস রাখ। সাহসই এখন খুব দরকার। এখন আমরা মৃত্যু শোক করবনা। এই মৃত্যু গৌরবের। তারা দেশের বীর সন্তান। স্বাধীনতার জন্য জীবন দিচ্ছে।
হরেন্দ্রনাথের কথা শেষ করতেই অজয় বলে, নৌকাটা একটু তীরে ঠেকাই কাকু?
- কেন রে?
- আমার ঘুম পাচ্ছে। তীরে ঠেকিয়ে আমি ঘন্টাখানেক ঘুমাব। তারপর আপনারা আমাকে জাগিয়ে দেবেন।
- আচ্ছা ঠিক আছে। ঠেকাও।
অজয় নৌকা ঠেকিয়ে শুয়ে পড়ে একদম নৌকার কিনারে। ওর মাথা ঝিমঝিম করছে। কানের কাছে পানির শব্দ। কোনোকিছুতে বাধাগ্রস্থ হয়না। ঘুমিয়ে পড়ে। হরেন্দ্রনাথও শুয়ে পড়লে মায়ারাণী চুপচাপ বসে থাকে। এত রাতে নদীতে গানবোট নাই। দূরে তাকালে দু’একটা নৌকা যেতে দেখা যায়। মানুষজন বসে আছে। সুন্দরবন এখানে নেই, পুরো এলাকা খোলা মাঠ। ধানক্ষেত বিস্তারিত হয়ে আছে। অনেকদূর পর্যন্ত দৃষ্টি চলে যায়। মায়ারাণী মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকে। এভাবে নিজের দেশকে দেখা কোনোদিন হয়নি। এই যাত্রায় প্রথমে মন খারাপ ছিল শরণার্থী হওয়ার জন্য। কিন্তু এই যাত্রা বদলে দেয় দেশের ছবি। মায়ারাণী গভীরবোধে অনুপ্রাণিত হয়ে নিজেকে বলে, এই দেশ হবে শুধুই বাঙালির। পাকিস্তানিদের না। বাঙালি নিজের ভাষা রক্ষা করার জন্য প্রাণ দিয়েছে। মায়ারণী নৌকা থেকে লাফ দিয়ে তীরে নামে। খালি পায়ে মাটিতে হেঁটে পা-ভরে মাটি লাগায়। তারপর ফিরে আসে নৌকায়। হরেন্দ্রনাথ এটা বুঝে বলে, ভালো করেছো। দেশের মাটি পায়ে ভরেছো। এখন যেখানেই থাকবে মনে রাখবে দেশ তোমার, শত্রæদের না।
দুজনের কথায় অজয় উঠে বসে। বলে, কাকু নৌকা ছাড়ি?
- হ্যাঁ, ছাড়। আমাদের তিন দিন তিন রাত লাগবে পৌঁছাতে। দেরি করা উচিত না।
অজয় নৌকা ছেড়ে দেয়। মধ্যরাত শেষ হয়ে ভোররাতের আভা শুরু হয়েছে। চারদিকে ফিকে আলোর ¯িœগ্ধতা ছড়িয়ে আছে। হরেন্দ্রনাথ চারদিকে তাকিয়ে বলে, একটুপরে সূর্য উঠবে। তখন আমরা পার হয়ে যাব শিবসা নদী। তাইনা অজয়?
- হ্যাঁ কাকু ঠিক বলেছেন। ইছামতি নদী পার হতে সারাদিন সারারাত লাগবে।
- হ্যাঁ, তা আমি জানি।
কেউ আর কথা বলেনা। চারদিকে তাকিয়ে থেকে নিজেদের দৃষ্টিকে ¯িœগ্ধ করে। একসময় সূর্য ওঠে। ছেলেমেয়েরা উঠে বসে। চারদিকে তাকিয়ে উজ্জ্বল হয়ে ওঠে ওদের চেহারা। চারজনই বলে, কি সুন্দর লাগছে চারদিক।
কৃষ্ণপদ হাসতে হাসতে বলে, বড় হয়ে আমি একটি নৌকা কিনব। আর নৌকায় ঘুরে বেড়াব সব নদীতে।
বীথিকা চেঁচিয়ে বলে, আমিও তোর সঙ্গে ঘুরে বেড়াব ছোট্ট দাদা। তুই যখন ঘুরবি তখন আমার মনে হবে, আমি তোর ছোট বোন। তুই আমার বড় ভাই।
- হুররে, হুররে। আমি দিদির বড়ভাই হব।
কৃষ্ণপদ হাততালি দেয়। বীথিকা হাসতে হাসতে বলে, নিরঞ্জন আর অমল আমার ছোট ভাই থাকবে।
- হ্যাঁ, আমরা ছোটভাই থাকব। দিদির আদর কুড়াব।
- ঠিক বলেছিস।
কৃষ্ণপদ সায় দেয়।
- আমি বড় ভাই হয়ে দিদিকে আদর দেব।
মায়ারাণী হাত তুলে ওদেরকে বলে, এবার তোরা থাম। সকালের খাবার খেতে হবে না?
- হবে মা। কখন খাব?
- এখনই দিচ্ছি।
মায়ারাণী সবাইকে রুটি আর কলা দেয়। সবাই যে যার মতো খেতে থাকে। খেতে খেতে সূর্যের ছড়িয়ে পড়া দেখে। অজয় মাঝি খেতে খেতে নৌকা চালিয়ে যায়। এভাবে চলতে থাকে নদীপথ। কখনো নদীর তীরে থেমে ভাত-তরকারি রান্না করে খেয়ে পাড়ি দেয়া হয়ে যায় নদীপথ। ইন্ডিয়ার স্বরূপনগর ব্রিজের নিচে একটি চরে নেমে পড়ে সবাই। নৌকা ছেড়ে দেয়। অজয় মাঝি বলে, যাই। আপনারা দেশে আসলে আবার দেখা হবে।
মায়ারাণী দরদী কন্ঠে বলে, বাবারে, যদি যুদ্ধ করার সুযোগ পাও, যুদ্ধে যেও।
- যাবো মাগো যাবো। দেশ স্বাধীন করার মন্ত্র আমার বুকের ভেতর আছে।
বীথিকা চেঁচিয়ে বলে, হুররে, হুররে - জয় বাংলা - জয় বঙ্গবন্ধু।
চরে দাঁড়িয়ে থাকা স্থানীয় লোকেরা বলে, জয় বাংলা। জয় বাংলার সবাই আসুন। আপনাদের জন্য ত্রাণসামগ্রী রেখেছি।
হরেন্দ্রনাথ বলে, কি সুন্দর চর এলাকা। আমাদের দেশেও এমন অনেক চর আছে।
- তাহলে বোঝেন আপনারা নিজের দেশের মতো জায়গায় সময় কাটাবেন।
বীথিকা হাসতে হাসতে বলে, হ্যাঁ, ঠিক। মনে হবে নিজের দেশের মাটির আপনজনের মাটির ওপর দাঁড়িয়ে আছি। নদীর ধার থেকে সামনের দিকে এগিয়ে যায় সবাই। একটি কুঁড়েঘরের সামনে গিয়ে দাঁড়ায়। ঘর থেকে বেরিয়ে আসে গোপাল সাহা। বলে, এটি আমার ঘর। আপনারা দুদিন এই ঘরে থাকবেন।
(চলবে)........... 

 

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা (পর্ব- ১)
শরণার্থীর সুবর্ণরেখা (পর্ব- ২)
শরণার্থীর সুবর্ণরেখা (পর্ব- ৩)
শরণার্থীর সুবর্ণরেখা (পর্ব- ৪)
শরণার্থীর সুবর্ণরেখা (পর্ব- ৫)
শরণার্থীর সুবর্ণরেখা (পর্ব- ৬)
শরণার্থীর সুবর্ণরেখা (পর্ব- ৭)
শরণার্থীর সুবর্ণরেখা (পর্ব- ৮)

 

এই লেখকের অন্যান্য লেখা



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top