সিডনী শনিবার, ২৭শে এপ্রিল ২০২৪, ১৪ই বৈশাখ ১৪৩১

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা (পর্ব- ১০): সেলিনা হোসেন


প্রকাশিত:
২ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৩:৩০

আপডেট:
২ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৩:৩১

 

মানা ক্যাম্পে চারমাস কেটে যায়। একদিন মায়ারাণীর প্রসব ব্যথা ওঠে। অল্প সময়ের মধ্যে সন্তান জন্মগ্রহণ করে। বাচ্চাটিকে দেখাশোনা করে পাশের ঘরের এক নারী। বাচ্চাটি জন্ম নেয়ার পর থেকে কাঁদেনি। চোখও ঠিকমতো খুলছে না। খুব ক্ষীণভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস পড়ছে। অনেকেই মনে করে বাচ্চাটি বাঁচবেনা।
বিথীকা ঘরে নেই। ও শরণার্থী কার্ড দেখিয়ে ত্রাণসামগ্রী আনার জন্য বাজারে গেছে। হরেন্দ্রনাথ বাইরে চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে। ঘরের ভেতরে দু’তিনজন মহিলার নানা কথায় মন খারাপ হয়ে যায়। দরজায় দাঁড়িয়ে মাথা ঢুকিয়ে জিজ্ঞেস করে, কেমন আছে আমার ছেলে?
একজন নারী বলে, মনে হয় বাচ্চাটি মরে গেছে। কান্নাকাটি নেই, চোখও খোলেনা।
হরেন্দ্রনাথ চোখের জল মুছে বলে, এখন কি করব আমরা।
একজন নারী বলে, বাচ্চার মায়ের সঙ্গে কথা বলেছি। ঘরের নতুন মাটির হাঁড়িতে করে ওকে হ্রদে ভাসিয়ে দেব। আমি এখন নিয়ে যাব। সাদা কাপড় দিয়ে মুড়িয়ে নেব হাঁড়ি।
হরেন্দ্রনাথ মাথা সোজা করে দাঁড়িয়ে যায়। আর কোনো কথা বলেনা।
যে নারী হাঁড়িতে ভরেছে বাচ্চাকে, সে হাঁড়ি নিয়ে বেরিয়ে যায়। হরেন্দ্রনাথ হাত বাড়িয়ে বলে, আমি ওকে একবার বুকে নিতে চাই।
সেই নারী হাঁড়ি এগিয়ে দেয়। হরেন্দ্রনাথ কিছুক্ষণ বুকে জড়িয়ে ধরে রাখে হাঁড়ি। দুচোখ বেয়ে জল গড়ায় অবিরত ধারায়। একসময় দাঁড়িয়ে থাকা নারী হাঁড়িটা টেনে নেয়। দ্রæত পায়ে হেঁটে হ্রদের কাছে গিয়ে হাঁড়িটা ভাসিয়ে দেয় জলে। তখন পর্যন্ত বাচ্চাটির কোনো সাড়াশব্দ নেই। কিছুক্ষণ পরে বিথীকা ফিরে এলে জানতে পারে ওর ভাইকে হ্রদে ভাসিয়ে দেয়া হয়েছে। কারো সঙ্গে কোনো কথা না বলে হ্রদের দিকে ছুটে যায় বিথীকা। সাদা কাপড়ে মোড়ানো হাঁটিটা বেশ খানিকটা ভেসে গেছে। বিথীকার মাথা ঝিমঝিমিয়ে ওঠে। কোনো কিছু চিন্তা না করে ও হ্রদের পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়ে। সাঁতার দিয়ে এগোতে থাকে। ছোটবেলাতেই সাঁতার কাটা শিখেছিল। এই চমৎকার হ্রদে সাঁতার কাটতে দারুণ লাগছে। বেশি কিছুক্ষণ সাঁতার কেটে হাঁড়িটা নিয়ে ফিরে আসে পাড়ে। হাঁড়ির ভেতর থেকে ভাইকে বের করে বুকে জড়িয়ে ধরে। মাঝে মাঝে নিজের ভেজা কাপড় থেকে ওকে হাতে ধরে রাখে, যেন ভেজা কাপড় থেকে ওর ঠান্ডা না লাগে। ওর বুকে কান লাগিয়ে শুনেছে হার্টের মৃদু শব্দ। নিঃশ্বাসও ভেসে আসছে মৃদু স্বরে, কিন্তু চোখ বন্ধ। বিথীকা উত্তেজনা বোধ করে। দুহাতে ধরে রেখে ছোট ভাইকে নিয়ে দ্রæত হেঁটে আসে। ভেজা কাপড়ে ছপছপ করে শরীর, কিন্তু ভাইয়ের গায়ে পানি লাগতে দেয়না। ক্যাম্পে চলে আসে দ্রæতগতিতে। চারপাশে মানুষ জমে যায়। মৃত ছেলেটিকে ও ফিরেয়ে এনেছে দেখে মানুষজন ভিড় করে ওদের ঘরের সামনে।
কেউ কেউ বলে, ওকে আমার কাছে দাও।
− খবরদার না। ওকে আমি কারো কাছে দেবনা।
− তোমার কাপড় তো ভেজা।
− আমি ওকে কীভাবে ধরেছি দেখেন না? ভেজা কাপড় ওর গায়ে লাগাই না। আমিতো ওকে অনেক দূর থেকে তুলে এনেছি। ওর শ্বাস পড়ছে। বুক ধুকধুক করছে। ও চোখ খুলছে না বটে। কেউ যদি ওকে আমার কাছ থেকে জোর করে নিয়ে যেতে চায় তাহলে আমি দায়ের কোপে তার মাথা দুভাগ করে ফেলব।
− হয়েছে যা, আর ভ্যাকভ্যাক করতে হবে না। ঘরে চলে যা।
বিথীকা কারো দিকে না তাকিয়ে ঘরে চলে আসে। মায়ারাণী চিৎকার করে কাঁদতে কাঁদতে বলে, স্বাধীনতা, স্বাধীনতা− আমার স্বাধীনতাকে তুই ঘরে এনেছিস মা।
− মাগো ওকে দুধ খাওয়াতে হবে। জন্মের পর থেকে ওর মুখে কিছুই যায়নি।
− আমি ওকে দুধ খাওয়াবো দে, আমার বুকে দে।
− নাগো মা, ও দুধ টেনে খেতে পারবেনা এখন। তুমি এই গ্লাসে দুধ চেপে নাও, আমি ওকে আস্তে আস্তে খাওয়াব।
− কিভাবে খাওয়াবি?
− দুধে তুলা ভিজিয়ে ওকে দেব। ও আস্তে আস্তে চুষে খাবে।
মাকে একটা গ্লাস দেয় বিথীকা। একটা বালিশ ছিঁড়ে তুলা বের করে। ঘরে কলাপাতা ছিল। কলাপাতার উপর তুলা বিছিয়ে ওখানে ভাইকে রেখে সুন্দর করে মুড়িয়ে কোলে রাখে। পাশের ঘরের একজন মহিলা বিথীকাকে সহযোগিতা করে। মহিলা বালিশের পরিষ্কার তুলা ছিঁড়ে গ্লাসে রাখা মায়ের দুধে ভিজিয়ে বিথীকাকে দেয়। বিথীকা ভাইয়ের মুখে তুলোটা দিলেই ও চুষতে শুরু করে। চোখ বন্ধ ছিল। দুধ চোষার সঙ্গে সঙ্গে চোখ খোলে। ওর দিকে তাকিয়ে মায়ারাণী চিৎকার করে বলতে থাকে, আমার স্বাধীনতা, আমার স্বাধীনতা। মাগো তোকে আমি আশীর্বাদ করি। তুই ছেলেটাকে বাঁচিয়ে এনেছিস। আহারে, তুই হ্রদের জলে ঝাঁপিয়ে পড়ে ওকে তুলে এনেছিস। তুই বিশ্বাস করিসনি যে মরে গেছে। হায় ভগবান!
− মা, কাঁদতে হবে না। চুপ করে শুয়ে থাক। তুমি তাড়াতাড়ি সুস্থ হও। একটানা পাঁচদিন এভাবে দুধ খাইয়ে বিথীকা ভাইকে আদর-যতেœ ভরিয়ে রাখে। শরণার্থী ক্যাম্পের সবার মুখে বিথীকার নাম। মৃত ভেবে যারা বাচ্চাটিকে হ্রদের জলে ভাসিয়ে দিয়েছিল তারা ক্যাম্প থেকে বের হয়না। নিশ্চুপ বসে থাকে। কিভাবে তারা এমন একটি সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছিল ভেবে অবাক হয়। মাঝে মাঝে অন্য তিনভাই ওকে ঘিরে ধরে বসে থাকে। বিথীকা ওদের ছাড়া আর কাউকে ওর পাশে আসতে দেয়না। কেউ ঢোকার সাহস পায়না। সবাই মিলে ভাবে কত বড় একটা ঘটনা ঘটে গেল এই শরণার্থী ক্যাম্পে। সব ঘটনা স্মৃতি হয়ে বুক ভরে থাকে বিথীকার। ওর প্রশংসায় উজ্জ্বল হয়ে থাকে শরণার্থী ক্যাম্পের মানুষরা। এই দুঃসাহসী মেয়েটির দিকে তাকিয়ে সবাই বলে, এমন মেয়ে আমরা কখনো দেখিনি। বিথীকা প্রশংসায় আপ্লুত হয়না। ভাবে, ছোট্ট ভাইটিকে বাঁচিয়ে তুলেছি এটা আমার দায়িত্ব। এখন থেকে আমি চার ভাইয়ের বড় বোন। আমার জীবন ধন্য। শরণার্থী ক্যাম্পে জীবনযাপন অন্যরকম হয়ে যায়। মা ঠিকমতো সুস্থ হলে ও মুক্তিযুদ্ধের কাজ করবে। মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করবে। একটি শিশুকে বাঁচানোর জন্য ও হ্রদে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। নিজেই ডুবে যাবে কিনা সেটাও ওর মাথায় আসেনি। মুক্তিযুদ্ধে এভাবেই কাজ করতে হবে। অসুস্থ যোদ্ধাদের সুস্থ করে ফেরত পাঠাতে হবে যুদ্ধক্ষেত্রে। তবেই শরণার্থী জীবন হয়ে উঠবে যুদ্ধের জীবন। নিজের সঙ্গে কথা বলে উৎফুল্ল হয় বিথীকা। মায়ের কাছে এসে বসে। তিনভাই মায়ের পাশে বসে আছে। ছোট্ট ভাই মায়ের কোলে। ওকে ঢুকতে দেখে তিন ভাই নড়েচড়ে বসে ওকে জায়গা দেয়। ওর মা বলে, এই ছেলেটার একটা নাম ঠিক করতে হবে রে। এখন থেকে ওই নাম ধরে ওকে ডাকব আমরা।
− আমি ওর জন্য একটা নাম মনে মনে ঠিক করে রেখেছি।
− বল, আমাকে বল।
− ওর নাম হবে অসীম।
− সুন্দর, সুন্দর। সবাই মিলে হাততালি দেয়।
অমল বলে, আমার সঙ্গে ওর নামের মিল আছে। অমল আর অসীম আমরা দুই ভাই।
নিরঞ্জন হাততালি দিয়ে বলে, আমরা চার ভাই। চার ভাই।
কৃষ্ণপদ হাসতে হাসতে বলে, আমরা চার ভাই এক বোন। অসীম আমাদের মায়ের স্বাধীনতা। দেশ স্বাধীন হলে আমরা ওকে নিয়ে দেশে যাব। ও আমাদের জয় বাংলা।
সবাই মিলে হাসে। হাসতে হাসতে মুখর হয় শরণার্থী শিবিরের একটি ঘর। বাইরে থেকে হাসির শব্দ শুনতে পায় হরেন্দ্রনাথ। ছেলেমেয়ের উচ্ছ্বাস তাকে আপ্লুত করে। দ্রæত ঘরের দরজায় এসে দাঁড়ায়। দরজা ঠেলে ঢুকলে হাসির রেশ বেড়ে যায়।
কৃষ্ণপদ একলাফে উঠে দরজার কাছে এসে বলে, বাবা, এসো এসো। আমাদের জয় বাংলা তোমার জন্য হাত-পা নাড়ছে।
− তোরা কি ওকে জয় বাংরা ডাকবি নাকি?
বিথীকা বলে, জয় বাংলার সময়ের ছেলে বলে ওর পরিচয় হবে। ওর নাম রেখেছি অসীম।
− বাহ্, সুন্দর নাম। ওকে আমার কোলে দে। বাইরে থেকে ঘুরিয়ে আনি।
− নাগো, কয়দিনের ছেলে মাত্র। ওকে বাইরে নিওনা।
− ভয় পেয়োনা তুমি। ও হ্রদের জলে ঘরে আসা সাহসী ছেলে।
আবার হাসির শব্দ ওঠে। সবাই মিলে একসঙ্গে হাসতে থাকে। শরণার্থী শিবির এমন আনন্দের জায়গা হবে বড়রা কেউ ভাবতে পারেনি। ছেলেমেয়েদের দিকে তাকিয়ে বুক ভরে যায় হরেন্দ্রনাথের। এই শরণার্থী শিবিরে থেকে জীবনের বিপুল অনুভব তাকে আন্দোলিত করে। সামনে আসছে স্বাধীনতা। মুক্তিযুদ্ধের নানা খবরে উদ্বুদ্ধ হয়ে যায় দিনের রশি। ভারতের সহযোগিতা বিচিত্র সম্ভারে পূর্ণ করে রাখছে মুক্তিযুদ্ধকে।
প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী বেশ অনেকটি শরণার্থী শিবির দেখে গেছেন। সবাইকে স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখিয়েছেন। সামনের বিশাল ছবি হরেন্দ্রনাথকে নানা দিগন্তে উদ্ভাসিত করে রাখে। হরেন্দ্রনাথ মনে মনে প্রণাম করে ইন্দিরা গান্ধীকে। হাসিতে নিজেকে উচ্ছ¡ল করে তোলে। চারদিকে কেউ নাই। তাই জোরে জোরে বলে, মাগো, তোমাকে আমি মায়ের মতো শ্রদ্ধা করব পুরো জীবন ধরে। তুমি আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধকে বিশে^র মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছ। মাগো, মাগো, তুমি আমার মা হয়ে থাকলে আজ থেকে − ইন্দিরা মা। একটু পরেই দেখতে পায় রাস্তার ধারে বসে এলাকার একজন ট্রানজিস্টারে খবর শুনছে। হরেন্দ্রনাথকে হাঁটতে দেখে ডেকে বলে, ও শরণার্থী দাদা, এদিকে আসেন। বিবিসিতে আপনার জন্য খবর আছে। বসেন খবর শোনেন। তখন ভেসে আসে কন্ঠস্বর − ‘পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর এবং সামরিক আইন প্রশাসক লেটেন্যান্ট জেনারেল টিক্কা খান যেসব শরণার্থী ভারতে পালিয়ে গেছেন, তাঁদের ঘরে ফিরে আসার আহŸান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, দেশের আর সব নাগরিকের মতো তাঁরাও একইভাবে বসবাস করতে পারবেন। গভর্নরকে উদ্ধৃত করে রেডিও পাকিস্তাান জানিয়েছে, রাজনৈতিক নেতাসহ ছাত্র, ব্যবসায়ী, সরকারি কর্মচারী, সশস্ত্র বাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা রাক্ষাকারী সংস্থার সদস্যদের স্বদেশে স্বাগত জানানো হবে। জেনারেল টিক্কা খান বলেছেন, সীমান্তে শরণার্থী অভ্যর্থনা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে, সেখানে খাবার, আশ্রয়, চিকিৎসা ও যানবাহনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, পূর্ব পাকিস্তানে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে এসেছে। মিথ্যা ও বিদ্বেষমূলক প্রচারণার প্রভাবিত হয়ে শরণার্থীরা দেশ ত্যাগ করেছেন এবং এখন অকারণে অপুষ্টি ও রোগে-শোকে ভুগছেন। বিবিসির কমনওয়েলথ সংবাদদাতা বলেছেন, জেনালেন টিক্কা খানের এই বিবৃতির যথার্থতা নিয়ে বিদেশি পর্যবেক্ষকরা সন্দিহান। আমাদের প্রতিনিধি বলেন, পূর্ব পাকিস্তান ছেড়ে বিপুলসংখ্যক লোকের চলে আসায় পাকিস্তানে যে ভাবমূর্তি ক্ষুণœ হয়েছে, পর্যবেক্ষকদের মতে, তারই প্রতিক্রিয়ায় জেনালের এই বক্তব্য দিয়েছেন।
এই খবর শুনে হরেন্দ্রনাথ তার পাশে বসে থাকা ভূপেন্দ্রনাথকে বলে, দাদা এমন খবর শুনে বিরক্ত হলাম। মিথ্যা কথা বলে কেন?
ভূপেন্দ্রনাথ বলে, সবই রাজনীতির খেলা। এভাবে না খেললে ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারেনা। ওরা নিজের মতো করে কথা সাজায়। ওরাতো তোমাদের কথা বলবেনা। নিজেদের স্বার্থে কথা বলবে।
− থাক, যা বলে বলুক। আমরা আমাদের মতো করে কাজ করে যাব। ভারত সরকার আমাদেরকে সহযোগিতা দিচ্ছে এটা ওরা মানতে পারছেনা।
− পারবেনাতো, সেজন্য মিথ্যার আশ্রয় নেয়। যাহোক, আমাদের সরকার যে সহযোগিতা দিচ্ছে এটা নিয়ে ওদের গায়ে জ্বালা শুরু হয়েছে।
− হবেইতো। সামনে ওদের পরাজয় আছে না।
− ঠিক, ঠিক। আমাদের স্বাধীনতা, স্বাধীনতা। যাই দাদা। শরণার্থী শিবিরে আমার একটি ছেলে হয়েছে। ওর মা ওকে বলে স্বাধীনতা। আমি যাই।
হরেন্দ্রনাথ উঠে হাঁটতে শুরু করে।
(চলবে)...........

 

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা (পর্ব- ১)
শরণার্থীর সুবর্ণরেখা (পর্ব- ২)
শরণার্থীর সুবর্ণরেখা (পর্ব- ৩)
শরণার্থীর সুবর্ণরেখা (পর্ব- ৪)
শরণার্থীর সুবর্ণরেখা (পর্ব- ৫)
শরণার্থীর সুবর্ণরেখা (পর্ব- ৬)
শরণার্থীর সুবর্ণরেখা (পর্ব- ৭)
শরণার্থীর সুবর্ণরেখা (পর্ব- ৮)

 

এই লেখকের অন্যান্য লেখা



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top