সিডনী শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪, ১৫ই চৈত্র ১৪৩০

ধ্রুবপুত্র (পর্ব চব্বিশ) : অমর মিত্র


প্রকাশিত:
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৮:৫৮

আপডেট:
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৯:০১

ছবিঃ অমর মিত্র

 

রানী ভানুমতী আর্তনাদ করে উঠলেন দরজায় অবন্তীর সেনাপতি কুমার বিক্রমকে দেখে, রাজপুত্র, এ কি শুনছি, সব সত্য?

রাজার বৈমাত্রেয় অনুজ ভিতরে প্রবেশ করলেন। অন্তঃপুরের ডাক পেয়ে তিনি এই দ্বিপ্রহরেই চলে এসেছেন রানীর কাছে। এই ঘরটি রানীর একান্ত নিজস্ব। এই ঘরে তিনি প্রসাধন সারেন। দাসী নিপুণিকা ব্যতীত আর কেউ এই ঘরে ঢোকেনা কখনো। রাজা আসতেন এক সময়। তাঁর ব্যাঘ্রচর্মাসনটি রয়েছে। রাজপুত্র সেই আসনে বসলেন। সামনে মস্ত দর্পণ। দ্বিপ্রহর, কিন্তু  ঘরের ভিতরটা আলো আঁধারী। মস্ত প্রদীপ জ্বলেছ। এখনো সূর্যদেব পশ্চিম আকাশে নেমে আসেননি। আর একটু  বাদে কিছু সময়ের জন্য পশ্চিমের আলো ঢুকবে পশ্চিমের জানলা দিয়ে। সেনাপতি ব্যাঘ্রচর্মে হাত ঘষলেন, বললেন, সব সত্য, আমার অনুচর খবর এনেছে।

দর্পণের দিকে পিঠ রেখে রাজপুত্রের মুখোমুখি বসেছেন রানী ভানুমতী। আজ তাঁর সাজসজ্জা নেই। যেটুকু ছিল, সেটুকুও নষ্ট হয়ে গেছে। অশ্রুপাতে ধুয়ে গেছে তা। রানী আবার কাঁদলেন, এ তুমি কী বলছ রাজপুত্র?

রাজপুত্র, কুমার বিক্রম বললেন, প্রতিটি বর্ণ সত্য।
কে সেই দেবদাসী?
মন্দিরে রয়েছে, দেখে আসতে পার।
রানী কপালে হাত দিলেন, এখনো রয়েছে, সে মরেনি?
কে মারবে?

কেন তাঁকে বাঁচিয়ে রেখেছ এখনো? রানী উত্তেজিত হয়ে পড়লেন। কুমার দেখলেন দর্পণেও রানীর অবয়ব কাঁপছে। নাকি দর্পণই কাঁপছে। রানী এমন সুন্দর যে তাঁকে ধরে রেখে অন্তঃপুরের দর্পণও ধন্য। হয়। কুমার রানীকে দেখছিলেন। ঘোর নিঃশ্বাসে তাঁর বুক থরথর করছে। নাকের পাটায় ঘামের বিন্দু। দুটি চোখে ঘূর্ণন দেখতে পান অবন্তীর সেনাপতি। রানী ভানুমতী কী সুন্দর। এই সুন্দরকে ছেড়ে রাজা কিনা দেবদাসীকে...। অপমানে নুয়ে গেছে সুন্দরী। কাঁদছে আবার। সেনাপতি তাঁর হাত রাখলেন রানীর হাতে, বললেন, শান্ত হও, তুমি অবন্তীর রানী, সামান্য দেবদাসী তোমার ক্রোধ, ঈর্ষা, শোকের কারণ  হতে পারে না।

তাই তো হয়েছে, রাজার কী রুচি! গরগর করে উঠলেন রানী।
সেনাপতি বললেন, আমি প্রথমে বিশ্বাস করিনি, কিন্তু সবই সত্য, আমি নিজেও গিয়েছিলাম পুরোহিতের কাছে।
রানী গর্জন করে উঠলেন, বেশ্যা মাগীটাকে শিয়াল কুকুর দিয়ে খাওয়াও, এতবড় স্পর্ধা!
তার কী অপরাধ? সেনাপতি জিজ্ঞেস করলেন।

অপরাধ! অবাক হয়ে রানী তাকিয়েছিলেন রাজপুত্রের দিকে। দীর্ঘদেহী, গৌরবর্ণ সুপুরুষ রাজপুত্র যেন রাজহংসেরই মতো রূপবান। বিন্দু বিন্দু ঘাম রাজপুত্রের গলার কাছে। রাজপুত্রতে কবে থেকে তাঁর মুগ্ধতা তা মনে নেই আর। কবে থেকে রাজা ভর্তৃহরি সরে যেতে লাগলেন, অনুজ বিক্রমের ছায়া তাঁকে ঢেকে দিতে লাগল ভুলে গেছেন রানী। তাঁর দু’চোখে বিহ্বলতা এল।

কুমার বিক্রম বললেন, সে তো সামান্য দেবদাসী, কীট পতঙ্গের মতো, তাকে হত্যা করলেই করা যায়, সত্য এই যে, তার সাধ্যই   নেই যে  অপরাধ করে।
রানী বললেন, অপরাধী কে?
তুমি জানো অপরাধী কে, ঢাকা যাচ্ছে না পাপ।
পাপ!
হ্যাঁ, মহাকালের দাসীকে তার মন্দিরে ধর্ষণ করা পাপই তো, দেবদাসীকে মেরে ফেললে পাপ যাবে না, আরো চেপে বসবে।
রানী কেঁদে ফেললেন, দাসী নিপুণিকে যখন এসে নগরের কথা বলে মাথা তুলতে পারি না কুমার, রাজার অপমান, রাজার পাপ কি রানীর অপমান, রানীর পাপও নয়?
মাথা নাড়তে লাগলেন সেনাপতি, তা কেন হবে, যার পাপ তার, যার অপমান তার, তোমার জন্য আমার কষ্ট হচ্ছে, নগরের মানুষের মমতা তোমার দিকে, নগরের মানুষ তোমার জন্য দুঃখ করছে।
অবন্তীর রানী কি উজ্জয়িনীর মানুষের করুণা প্রত্যাশী?
হাসলেন সেনাপতি। বুকের উত্তরীয় নামিয়ে দিলেন। চওড়া বুকে ঘামের বিন্দু। ফুঁ দিতে লাগলেন। রানী এগিয়ে এলেন। নিজের উত্তরীয় দিয়ে হাওয়া দিতে লাগলেন সেনাপতির বুকে, বললেন, দাসীকে ডাকি, বাতাস দেবে।
থাক, বলছি, নগরে তো ঢি ঢি পড়ে গেছে।
নগরের মানুষ জানল কী করে?
জানিনা, কিন্তু এখন মানুষের মুখে শুধু ওই কথা।
কপালে করাঘাত করলেন রানী, এতে তো আমারও অসম্মান।
তা কেন হবে? রাজাকে আমি বেঁধে রাখতে পারিনি।
সেনাপতি বললেন, অমন নিম্নরুচির মানুষকে বাঁধা তো কষ্ট।
দু’হাতে কান চাপলেন রানী ভানুমতী। পতি নিন্দা শোনা স্ত্রীধর্ম নয়। কিন্তু কুমার বিক্রম তো থামলেন না, বলছেন, রাজার কি মতিভ্রম হয়েছে, কুকুরও তো ঘুমন্ত কুক্কুরীর সঙ্গে মিলিত হয় না, পুরুষ মানুষ  না মনুষ্যেতর প্রাণী আমাদের রাজা? কেউ কখনো শুনেছে ঘুমন্ত নারীতে উপগত হচ্ছে পুরুষ মানুষ।

কথাটা ঠিক যুক্তিসঙ্গত হল না। কিন্তু মনে করলেই তা যুক্তিপূর্ণ তাই চুপ করে আছেন রানী। আর এওতো সত্য যা রটেছে তা ঘটে থাকলে, রাজার আচরণ রাজার মতো হয়নি। রানী বিপন্ন বোধ করছেন। তার রূপ যৌবন সবই যেন ব্যর্থ মনে হচ্ছে। রাজার কাছে হেরে গেছেন ভানুমতী। রাজাকে তিনি অবহেলা করেছেন, শয্যায় ডাকেননি, প্রত্যাখ্যান করেছেন, কিন্তু রাজার প্রত্যাখ্যান যে এত কঠিন হতে পারে তা কী করে বুঝবেন তিনি? কবির মনেও যে প্রত্যাখ্যান ছিল তা কোনোদিনই টের পাননি রানী ভানুমতী। দাসী বলছে, রানীর যৌবনের চেয়ে, রূপের চেয়ে সামান্য দেবদাসীর রূপ, যৌবন নিশ্চিত ভাবে অনেক আকর্ষণীয় হয়েছিল রাজার কাছে, তাই শেষ পর্যন্ত তার কাছেই নিজেকে সমর্পণ করেছেন অবন্তীর অধীশ্বর। আর দেবদাসী ঘুমন্ত ছিল, না রাজার জন্য প্রদীপ জ্বেলে বসেছিল তা বলবে কে? কী হয়েছিল তা জানে সেই মেয়েমানুষ আর রাজা ভর্তৃহরি।

রানী বললেন, সেই দেবদাসীকে আমি দেখতে চাই।
কেন?

কেন তা বলতে পারলেন না রানী ভানুমতী। দেবদাসীকে দেখে কি তিনি যাচাই করবেন কে বেশি রূপবতী, কার যৌবন কতো মধুর, কেন মধুর? তাতে হেরে গেলে কি তাঁর মন শান্ত হবে? নাকি জিতে গেলে? তিনি যে অনেক সুন্দর তা তো বলেই এই রাজপুত্র, রাজার সেনাপতি। তিনি যে নগরের সেরা সুন্দরী তা বলে দাসী নিপুণিকা। সব চেয়ে সুন্দর হয়ে অসুন্দরের কাছে হেরে গেছেন রানী। দাসী তো বলেছে সে একেবারে হতশ্রী। শুধু যৌবনকাল বলেই যতটুকু না হলে নয় ততটুকু রূপ আছে তার নানা অঙ্গে। তবে দেখে কী করবেন? জিতে সুখ নেই, হেরে তো নেইই। অসুন্দরের কাছে সুন্দরের পরাজয় হলে সুন্দরই অসুন্দর হয়ে যায়।

রানী বিড়বিড় করলেন, আমি এখন কী করব কুমার?
কী করবে?
আমাকে ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে রাজা। আমার বুক ভেঙে গেছে, মুখ দেখাব কোথায়, লোকে যে  বলছে আমি অক্ষম বলে রাজা অন্য নারীতে গেছেন, পুরুষ মানুষের কি পাপ হয় কুমার?
সেনাপতি চুপ করে থাকলেন। আজন্ম লালন করা সংস্কার তাকে বলতে দিল না পাপীর নারী-পুরুষ। ভেদ নেই, পুরুষেরও হয়, যেমন নারীর হয়ে থাকে।
রানী ভানুমতী বললেন, নগরের মানুষ কী বলছে?
রাজ নিন্দায় ছেয়ে গেছে নগর।
বলছে, রানী পারেনি তাই রাজা মন্দিরের দেবদাসীর দিকে চোখ দিয়েছেন, রানীর রূপ কী জন্য যদি রাজাই মুগ্ধ না হন।
কুমার বিক্রম হাত বাড়িয়ে রানীর থুতনি স্পর্শ করলেন, মুখখানি হাতের তালুতে রাখলেন, খুব নরম অথচ চাপা স্বরে বললেন, রানীর রূপ কার জন্য তা রানী নিজেই জানে না, নগরও না।

মুখখানি সরিয়ে নিলেন ভানুমতী। ঝুঁকে পড়লেন রাজা গন্ধর্ব সেনের পুত্রর বুকের কাছে, গরম নিঃশ্বাস ফেললেন সেনাপতির প্রশস্ত বুকে। ফিসফিস করে বললেন, আমি জানি, কিন্তু আমি এখন কী করব কুমার, তুমি ওই সর্বনাশীকে অন্ধ কূপে নিক্ষেপ করো।

হাসলেন কুমার, তাতে তুমি শান্ত হবে?
হবো।
কিন্তু সে তো নিরপরাধী, ঘুমিয়েছিল মন্দিরের আশ্রয়ে।
রানী বললেন, আমি রাজাকে চিনি, জোর করা তার অভ্যাস নয়, তিনি পারেন না।  
সেনাপতি বললেন, তুমি তো আড়াল করতে চাইছে রাজার অপরাধ।
রানী বললেন, আড়াল করছি না, কিন্তু দেবদাসী সত্য বলছে না, ধরা পড়ে গিয়ে রাজার বিপক্ষে অভিযোগ এনেছে, সর্বনাশীর সাহস খুব।

কুমার বিক্রম চুপচাপ। তাঁর মনের ভিতরে দু’রকম সম্ভাবনা খেলা করল। এই অন্তঃপুর খুব সহজ নয়। অন্তঃপুরের মতোই জটিল অন্তঃপুরবাসিনী রানী ভানুমতী। ভানুমতী কি রাজার কলঙ্ক মোচনে সেনাপতির সাহায্য চায়? সেনাপতির আকাঙ্ক্ষা জেনেও ভানুমতী কি অনুমান করতে পারছেন না রাজা ভর্তহরি  কেন কলঙ্কিত হয়ে পড়েছেন অবন্তীবাসীর কাছে। সেনাপতি চাইলে দেবদাসীকে দিয়েই রাজাকে নিষ্কলঙ্ক করে তোলা যায়। কত সময় লাগে তাতে?

রানী বললেন, সেকি আর্তনাদ করেছিল?
কেন?
নিঃশব্দে ধর্ষিতা হলো সর্বনাশী মেয়েমানুষ, কেউ জানল না?
কুমার বিক্রম বললেন, পুরোহিত জেনেছিলেন।
সত্য বলছ?
অসত্য বলব কেন, কিন্তু বৃদ্ধ ভয়ে চুপ করেছিলেন, রাজা অন্ধকারে বললেন তিনিই মহাকাল, কণ্ঠস্বরে চেনা গিয়েছিল তাঁকে।
মাথা নাড়তে লাগলেন রানী, এ কথা বিশ্বাস করা যায়?
সেনাপতি বললেন, আমি তাহলে যাই।
এখনই?
আমাকে অবিশ্বাস করলে আমি থাকি কী করে? উষ্মা ফুটে উঠল কুমার বিক্রমের কন্ঠস্বরে।
রানী বললেন, মিথ্যা বলছে পুরোহিত আর দেবদাসী, দেবদাসীকে অন্ধকূপে দাও, পুরোহিতকে সাবধান করো।
সে তো রাজা করবেন।

রাজা বিপন্ন হয়েছেন, তুমি তোমার অগ্রজকে চেন না কুমার, সে কখনো কঠোর হতে পারে? যে কঠোরই হতে পারে না, স্ত্রী যাকে শয্যায় না ডাকলে বিষণ্ণ হয়ে সমস্ত রাত জানালার কোলে বসে থাকে, সে কি ধর্ষণ করতে পারে? নগরের মানুষ না চিনুক তুমি তো চেন রাজাকে।
তুমি কী চাও? কুমার চোখ রাখলেন রানীর চোখে।
উজ্জয়িনীর সিংহাসনে যেন দাগ না লাগে।
এ দাগ মুছে যাবে সময়ে, সিংহাসন তো অনাদিকালের, রাজা কত দিনের? কুমার বজ্রকন্ঠে বললেন।
কথাটায় চমকে ওঠেননি রানী, কিন্তু ভয় পেয়েছেন। তিনি বুঝতে পারছিলেন বাতাস দমচাপা, ঝড় উঠতে পারে। এই অবস্থা ক্রমশ ঘনীভূত, আরো ঘনীভূত হচ্ছে। বুক ধকধক করছিল ভানুমতীর। কথা  বলতে সাহসই হচ্ছিল না।
কুমার বললেন, উজ্জয়িনীর সিংহাসনে বসে অনাচার চলে না।
তুমি থামো, আমার ভয় করছে।
সিংহাসনের মর্যাদাতেই রাজার মর্যাদা, তিনি যদি তা না রাখতে পারেন!
থামো, মনের কথা মনে রাখো। রানী ফিসফিস করে উঠলেন, তারপর বললেন, উজ্জয়িনীর মানুষ তো রাজাকে চেনে, তুমি ক্লান্তই হবে কুমার।
উঠে দাঁড়ালেন সেনাপতি, বললেন, তুমি স্পষ্ট করে বলো, কী চাও?
আমি জানি না। কাঁদতে কাঁদতে মেঝেতে মাথা ঠুকলেন রানী, আমি যে কী চাই তা বুঝতে পারছি না, রাজার জন্য খুব মায়া হচ্ছে কুমার, আগে যাঁকে সহ্য করতে পারতাম না, এখন করুণা হচ্ছে তাঁর জন্য, তিনি খুব নরম মানুষ, তিনি কি এমন কাজ করতে পারেন, কিন্তু কথাটা রটে যাচ্ছে যে কেন?
কেন তুমি জান না?
উঠে দাঁড়ালেন রানী, জানি কিন্তু মায়ায় আমার মন ভরে যাচ্ছে যে, তোমরা ক্ষান্ত হও, থামো, এসব বন্ধ করো। 

কথাটা উচ্চারণের সঙ্গে সঙ্গে দুই থাবায় রানীর কাঁধ ধরলেন অবন্তীর সেনাপতি কুমার বিক্রম। প্রশস্ত বুকের উপর আঁছড়ে ফেললেন রানী ভানুমতীকে, বললেন, করুণা করো, তোমার করুণায় রাজা শুদ্ধ হন, কিন্তু নগরের মানুষ তো বিশ্বাস করতে শুরু করেছে, মানুষের সুকৃতির কথা না ভুলেও তাকে ঘৃণা করতে তো অসুবিধে নেই।

হায় রাজা! রানী সরে গেলেন। তাঁর কানে যেন বহুদূরের পদশব্দ ভেসে আসছিল। রাজপুত্র হাসলেন, রানীর হাহাকার শুনে বললেন, তোমারও পিছনে ফেরার উপায় নেই, রাজা কি তোমার ভালবাসা পায়?

রানী চুপ করে আছেন। মাথা নিচু হয়ে গেল তাঁর। সেনাপতি তাঁর কাঁধ ছুঁয়েছেন আবার, সেনাপতি বলছেন, তোমার প্রশ্রয়েই না এতদূর এগোন গেছে, নাহলে অবন্তীর রানীর ঘরে কবে এসেছে অন্য পুরুষ?
থামো। রানীর কন্ঠস্বরে দার্ঢ্য ফিরে এল। 
রাজপুত্র চলতে লাগলেন। রানী দুয়ার থেকে বেরিয়ে এলেন বাইরের দীর্ঘ অলিন্দে। সেনাপতি চলে যাচ্ছেন। কী স্বাস্থ্য, কী রূপ! রানী মুগ্ধ হয়ে চেয়ে থাকতে থাকতে চাপা গলায় ডাকলেন, রাজপুত্র।
ঘুরে দাঁড়ালেন কুমার বিক্রম। রাজহংসের মতো দর্পিত ভঙ্গিমায় মাথা তুলে তাকালেন, টানা চোখ দুটি চকচক করছে চোখেরই আলোয়। ফিরে আসতে লাগলেন তিনি রাজহংসীর মতো রূপবতী কনখলপুত্রীর কাছে। শরীর ঘামছে। শরীর দপদপ করছে নিহিত আগুনে।

চলবে

 

ধ্রুবপুত্র (পর্ব এক)
ধ্রুবপুত্র (পর্ব দুই)
ধ্রুবপুত্র (পর্ব তিন)
ধ্রুবপুত্র (পর্ব চার)
ধ্রুবপুত্র (পর্ব পাঁচ)
ধ্রুবপুত্র (পর্ব ছয়)
ধ্রুবপুত্র (পর্ব সাত)
ধ্রুবপুত্র (পর্ব আট)
ধ্রুবপুত্র (পর্ব নয়)
ধ্রুবপুত্র (পর্ব দশ)
ধ্রুবপুত্র (পর্ব এগার)
ধ্রুবপুত্র (পর্ব বারো)
ধ্রুবপুত্র (পর্ব তের)
ধ্রুবপুত্র (পর্ব চৌদ্দ)
ধ্রুবপুত্র (পর্ব পনের)
ধ্রুবপুত্র (পর্ব ষোল)
ধ্রুবপুত্র (পর্ব সতের)
ধ্রুবপুত্র (পর্ব আঠারো)
ধ্রুবপুত্র (পর্ব উনিশ)
ধ্রুবপুত্র (পর্ব কুড়ি)
ধ্রুবপুত্র (পর্ব একুশ)
ধ্রুবপুত্র (পর্ব বাইশ)
ধ্রুবপুত্র (পর্ব তেইশ)

 

এই লেখকের অন্যান্য লেখা



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top