সিডনী রবিবার, ৫ই মে ২০২৪, ২২শে বৈশাখ ১৪৩১

ধ্রুবপুত্র (শেষ পর্ব) : অমর মিত্র


প্রকাশিত:
৩১ মে ২০২১ ২১:২৭

আপডেট:
৩১ মে ২০২১ ২১:৩১

ছবিঃ অমর মিত্র

 

চতুরিকা বলেই দিল সে যাচ্ছে শ্ৰেষ্ঠীগৃহে। কথা হয়ত সত্য নয়, তবে অসত্যও তো নয়। পথে যখন বেরিয়েছে বৈদ্যরাজ নহুষ শর্মণকে খুঁজতে খুঁজতে সে শ্ৰেষ্ঠীগৃহ অবধি চলে যেত হয়ত। শ্রেষ্ঠীগৃহ তাকে টানছে। নহুষ শর্মণ এই নগরের কোথায় থাকেন তা জানে না সে, কিন্তু শ্রেষ্ঠীগৃহ তার চেনা। নহুষ শর্মণ হয়ত ওখানে গেছেন। না গেলেও কল্পনা করতে অসুবিধে কোথায়? সেই কল্পনাই তো শ্রেষ্ঠীগৃহে যাওয়ার পথটি দেখিয়ে দিত তাকে। শ্ৰেষ্ঠীর বার্তা নিয়েই তো তিনি এসেছিলেন চতুরিকার কাছে, এখন চতুরিকার সংবাদ নিয়ে নিশ্চয়ই শ্ৰেষ্ঠীর কাছে তাঁর ফিরে যাওয়ার কথা। উদ্ধবনারায়ণ যদি পথরোধ না করত, চতুরিকা অনেকখানি পথ এগিয়ে যেতে পারত। 

চতুরিকার কথায় উদ্ধব নারায়ণ তার ফণা নামিয়ে নিল। ধীরে ধীরে মাটি ঘষটে যেমন অন্ধকারে ফিরে যায় শান্ত হয়ে যাওয়া কালসর্প, উদ্ধবনারায়ণ প্রায় সেইভাবেই টলতে টলতে অশ্বের অন্য ধারে গিয়ে দাঁড়াল। এখন গণিকা এবং রাজসত্রীর মধ্যিখানে নিশ্চল অশ্বটি মাথা নামিয়ে। সব থেমে আছে। বেগবানের বেগ মুছে গেছে, চাঁদের আলো নিশ্চল, মানুষ দুটিও। উদ্ধব চোখ পিটপিট করে দেখছে চতুরিকাকে। এ কি সেই গণিকা, না অন্য কেউ? তার কি ভ্রম হচ্ছে? নেশায় তো ভ্রম হতেই পারে। দিগ্ভ্রম হতে পারে, মানুষকেও ঠিকমতো চেনা না যেতে পারে। এ কি চতুরিকা নয়? অন্য কোনো নারী, সম্ভ্রান্ত পরিবারের কেউ? নাকি গণিকা দেবদত্তা? মুখখানি তো একবারই দেখেছে সে, ভুল দেখেছে? এখন তো আবার মাথা মুখ ঢেকে নিয়েছে রমণী তার উত্তরীয় দিয়ে। হায় হায়! সে নিজের সর্বনাশ নিজে করল। শ্ৰেষ্ঠীর অভিসারিকাকে পথে নিগ্রহ করেছে, কথা শ্ৰেষ্ঠীর কানে গেলে উতঙ্কের দশা হবে তার। শ্ৰেষ্ঠী তাঁর প্রিয়তম দাসকে যখন অগ্নিদাহন থেকে বাঁচালেন না, শাস্তি মকুব করালেন না, উদ্ধব কী করে ছাড় পাবে? উতঙ্কর মরণ দেখেছে উদ্ধব। গা হিম হয়ে যেতে লাগল উদ্ধবের। পথ নির্জন। ঘুম ঘুম জ্যোৎস্না পড়ে আছে পথের উপর। অনেকটা দূরে যেন আগুনে পোড়া উতঙ্ক এসে দাঁড়াল। সে দুহাতে মুখ ঢাকল। 

কী হলো? চতুরিকা জিজ্ঞেস করল। 

কণ্ঠস্বরে চিনল উদ্ধব আবার। মুখ থেকে হাত সরাল। অস্ফুট স্বরে জিজ্ঞেস করল, চতুরিকে?

কেন চেনা যায় না নেশা করলে?

কী বললে, কোথায় চলেছ? দু-হাতে চোখ ডলতে ডলতে জিজ্ঞেস করে উদ্ধব।

শ্ৰেষ্ঠীর গৃহে, তিনি আমাকে ডাক দিয়েছেন।

সত্যি! উদ্ধবের দু’চোখ বিস্ফারিত, সত্যি বলছ?

খিলখিল করে হাসে, চতুরিকা। জবাব দিল না সরাসরি, বলল, তুমি দেখছি নেশায় ভূত হয়ে গেছ সত্রী মশায়। 

অভিসারে যাচ্ছ?

তাই-ই তো, শ্রেষ্ঠী ডেকেছেন, চাপা গলায় বলল, চতুরিকা। বলার সময় তার সমস্ত শরীর শিহরিত হলো। আহা, কথাটা যেন সত্য হয়। 

উদ্ধব চেয়ে থাকল আবার। তার মাথায় কিছু ঢুকছে না। মাথায় কিছু খেলছে না। অথচ মাথাটি তো নিরেট নয়। সর্বসময় সচল। কতরকম কূটবুদ্ধি, ফন্দি ফিকির তার মাথায় সর্বক্ষণ খেলে বেড়ায়, অথচ এই ঘটনাটি সে ঠিক মতো মেলাতে পারছে না। তারই সেবাদাসী, তারই ভোগ্যা সামান্য গণিকা কিনা শ্রেষ্ঠী গৃহে যাচ্ছে অভিসারে! নাকি তার সত্যিই ভুল হচ্ছে? এইজন চতুরিকা নয়, অন্য কেউ, কোনো সম্ভান্ত  নারী, কূলবধূ, ধরা পড়ে গিয়ে চতুরিকার বেশ ধরেছে। তার মাথায় ঘোর। কাকে দেখতে  কাকে দেখছে সে? কার কণ্ঠস্বর শুনতে কারটা শুনছে তারও ঠিক নেই। যেই হোক এই নারী, আসলে এ শ্ৰেষ্ঠীরই অভিসারিকা। সে মশাল ফেলে যুক্তকরে মাথা নত করল, বিড়বিড় করে বলল, আপনি চলুন, আমি আপনাকে শ্রেষ্ঠীগৃহে পৌঁছে দিয়ে আসি, নির্জন পথ, কত রকম বিপদ হতে পারে। 

চতুরিকা খিলখিল করে হাসে আবার, বিপদ তো তোমার কাছ থেকেই আসে সতরি  মশায়।

একেবারে চতুরিকার গলা, কিন্তু চতুরিকা নয়। অভিসারিকারা পারে এমন। উদ্ধব ও শুনেছে অভিসারিকারা যোগ বলে নানারূপ ধরতে পারে, অদৃশ্য হয়ে যেত পারে ইন্দ্রজাল বিদ্যার প্রভাবে। উদ্ধব আরো নত হলো, বলল, আমি তো ভুল ভেবে আপনার পথ রোধ করেছি মহাশয়া।

চতুরিকা বলল, তুমি যে পথে যাচ্ছিলে যাও।

আমি তো যাচ্ছি গণিকালয়ে।

গণিকা তো যাচ্ছে শ্ৰেষ্ঠী গৃহে।

উদ্ধব বলে, সে কেন যাবে, আপনি কোনো সম্ভ্রান্ত নারী।

চতুরিকা বলে, তোমার নেশা খুব চড়েছে সতরিমশায়। 

উদ্ধব আবার শুনল, একেবারে চতুরিকার কণ্ঠস্বর! কিন্তু এ তার শ্রবণ বিভ্রম। সে কথা না বলে অসহায়ের মতো চেয়ে থাকে চন্দ্রালোকিত পথের নির্জনতায়। মশাল নিভে গেছে। গা ছমছম করছে। হয়ত এ কোনো অভিসারিকা নয়, আরো কিছু। ডাকিনী বিদ্যায় পারঙ্গম কোনো দুষ্ট নারী। তার পাল্লায় পড়েছে সে। হায় রে! এতদিন ধরে রাত্রিকালে চলাফেরা করে সে, কখনো পায়ে হেঁটে, কখনো অশ্বে। জোৎস্নায় অশ্বারূঢ় হয়ে চলাচলে শৌর্য আসে দেহ মনে। আজ তাই এসেছিল। তাই অনায়াসে সে অভিসারিকার পথ রোধ করেছে। এমন ঘটনা ঘটানো আজই তো প্রথম নয়। প্রায়ই তো এক একজনকে ধরে ফেলে সে। রাজসত্রী না হলে, নগরে রাত্রিকালে চলাফেরা না করলে সে জানতেই পারত না, কোন ঘরের বউ অভিসারে কোন পুরুষের কাছে যায়, কোন যুবতী মেয়ে গোপন অভিসারে কার সঙ্গে মত্ত হয়! অভিসারিকারা যে গৃহে যায় তা কতটা সম্রান্ত বা অভিসারিকা কতটা সম্রান্ত গৃহের কন্যা বা কুলনারী, তা জেনেই উদ্ধবের রূপ বদল হয়। এই নগরের সমস্ত সম্ভ্রান্ত ঘরে যে কত গুপ্ত ঘটনা ঘটে যায় প্রতিদিন, রাজসত্রী হিসেবে তার কিছু খোঁজ রাখে সে। আর রাত্রিকালে কত যুবতী যে ধরা পড়ে তার কাছে। সেও সুযোগ নেয়। পথিমধ্যে পান করে নেয় যৌবনের মধু। কখনো ছিন্ন করে নিয়ে নেয় সোনার কন্ঠহার, আঙুল থেকে সোনার অঙ্গুরীয়। অভিসারিকারা এই নিগ্রহের কথা না পারে জানাতে, না পারে কাঁদতে। কপালের ফের বলে মেনে নেয়। তবে হ্যাঁ, খুব নিশ্চিন্ত না হয়ে উদ্ধব এসব করে না। 

চতুরিকা বলে, চুপ হয়ে গেলে যে।?

তুমি কি সত্যিই চতুরিকে, গণিকালয়ের চতুরিকে? 

তবে আমি কে? 

উদ্ধব মাথা ঝাঁকাতে থাকে। সে বুঝতে পারছে তার সঙ্গে ছল করছে কোনো অভিসারিকা কুহকিনী। কুহকিনী না হলে সুভগ দত্তর গৃহে অভিসারে যেতে পারে? 

উদ্ধব বলল, কে জানবে, কেউ না।

সবাই জানবে, তুমি বলে দেবে।

না, না, না।

বলবেই, শুঁড়িখানায় বসে দশজনকে শুনিয়ে দেবে এই কথা।

তাহলে তো আমার ধড়ে মাথা থাকবে না। 

থাকবে নাই তো। চতুরিকা ক্রমশ সাহসী হয়ে উঠছিল। সে বুঝতে পারছিল উদ্ধবের হাত থেকে রেহাই পাওয়ার এইই উপায়। না হলে ওই মাতাল তার দুর্গন্ধযুক্ত দেহ নিয়ে তাকে শয্যায় টানবে। ওই মাতালের সেবা করতে হবে তাকে সমস্ত রাত্রি ধরে। বমি করে ঘর নষ্ট করবে উদ্ধব! ধুস! এখন ভাবতেই ঘেন্না লাগছে। বমনের কথা ভাবতেই ঘৃণায় রি-রি করছে চতুরিকার সমস্ত দেহ। এই ঘৃণার অনুভূতি আজ এই মুহুর্তে প্রথম টের পেল চতুরিকা। আজ নহুষ শর্মণের কথা শুনে যা মনে হয়েছিল, এখন মনে হচ্ছে তা সত্য। সত্যই। সুভগ দত্ত তাকে যাঞা  না করলে কেনই বা বৈদ্যরাজ তার গৃহে ঢুকবে, কেনই বা বারবার বলবে সুভগ দত্তর বাণিজ্যযাত্রায় তাঁর সাথী হতে। এই কথা সত্য হলে উদ্ধবনারায়ণকে ভয় পাবে কেন চতুরিকা? ভয় থেকে ভক্তি হয়। ভয় যখন নেই, ভক্তিও নেই। ভক্তি নেই যখন, আছে ঘৃণা। এতদিন ধরে উদ্ধবের বমিতে নষ্ট হওয়া ঘর পরিস্কার করেছে সে বিনাবাক্যে, ওটাই তার কাজ এই ধারণায়। আজ ভাবতেই ঘৃণায় গা জড়িয়ে আসছে। 

চতুরিকা বলল, তুমি যেখানে যাচ্ছিলে যাও।

আমি তো গণিকালয়ে......।

না, তুমি নিজগৃহে যাও।

গণিকালয় তো আমার গৃহ প্রায়। উদ্ধব আবার দুটি হাত জোড় করল।

চতুরিকা বলল, উঁহু, আমি তো ফিরব না। 

তুমি কি সত্যিই চতুরিকে?

তবে আমি কে?

তুমি অন্য কেউ নও?

চতুরিকা হাসল, শ্রেষ্ঠীকে বলতে হবে সতরি মশায়ের কথা, নেশা করলে লোকটা চোখে ভুল দ্যাখে। উদ্ধব দেখল চতুরিকাই বটে। তার গণিকা চতুরিকা! কী আশ্চর্য! কী ভয়ানক কথা! চতুরিকা কিনা যায় শ্রেষ্ঠীগৃহে? নাকি অন্য কোথাও? মিথ্যা কথা বলছে ধরা পড়ে গিয়ে। মাথাটা এই বার পরিস্কার হচ্ছে উদ্ধবের। ফন্দিফিকিরগুলো খেলতে শুরু করেছে। উদ্ধবের ভোগ্যা গণিকা কেন শ্রেষ্ঠীর ডাক পাবে? সে গম্ভীর গলায় বলল, চলো শ্ৰেষ্ঠী গৃহে দিয়ে আসি। 

না, শ্রেষ্ঠী কুপিত হবেন, অভিসারিকা অভিসারে একাই যায়।

নাকি অন্য কোথাও যাচ্ছিলে?

চতুরিকা টের পায় উদ্ধব সন্দেহ করতে শুরু করেছে, মানে ওর নেশা কমছে। উদ্ধব ভয়ানক সন্দেহ পরায়ণ মানুষ, এখন যদি সত্যিই তাকে টেনে নিয়ে যায় শ্রেষ্ঠীগৃহে, তখন? নহুষ শর্মণের কথা সত্য যেমন হতে পারে, অসত্যও তো না হওয়ার কারণ তেমন নেই। অসত্য হলে কী ভয়ানক ঘটনাই না ঘটে যাবে। তাহলে?

উদ্ধব বলল, তুমি নিশ্চয়ই নাগর জুটিয়েছে আর কোনো।

আহ্! চতুরিকা বুঝতে পারে এখনই উদ্ধবের রাশ টেনে না ধরতে পারলে, ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে দুর্বৃত্ত। সে এগিয়ে এসে বলল, নিয়ে চলো শ্ৰেষ্ঠীগৃহে, আমাকে ঘোড়ায় তোলো, দেরি হয়ে গেছে, এতক্ষণে তিনি বোধহয় নিদ্রা গেলেন। 

কোথায়? উদ্ধবের যুগল ক্রু কুঁচকে যায়।

শ্ৰেষ্ঠীগৃহে, আমি গিয়ে বলি সব।

কী বলবে? 

বলব উদ্ধবের জন্যই দেরি। 

তাহলে সত্যি! উদ্ধব বিড়বিড় করে। এ তো ভয়ানক সমস্যা। চতুরিকার কথা সত্য হতে পারে, আবার অসত্যও। অসত্য হলে বাঁচে উদ্ধব, সে চতুরিকাকে অসত্য বলার শাস্তি দিতে পারে কিন্তু যদি সত্য হয় ওর কথা? সে যে কী ভয়ানক বিপদ হবে? শ্ৰেষ্ঠী তাকে পুড়িয়ে মেরে দেবেন। উদ্ধব দুটি হাত তার ঘোড়ার পিঠে রাখল, বিড়বিড় করল, এখন আমি কী করি?

কথা শুনতে পায় চতুরিকা, বলল, আমাকে নিয়ে চলো শ্ৰেষ্ঠীগৃহে, তোমার সন্দেহ ঘুঁচিয়ে দেই। 

চতুরিকা বুঝতে পেরেছিল এ ব্যতীত অন্য কোনো পথ নেই। নিয়ে যায় উদ্ধব নিয়ে যাবে, নহুষ শর্মণের কথা সত্য হলে উদ্ধবের উপর প্রতিশোধ নিতে পারবে সে। না হলে মরবে। মরেই তো আছে। 

উদ্ধব বলল, না চতুরিকে, তুমি একাই যাও। 

একা যাব কী করে, দেরি হয়ে গেছে, ওই দ্যাখো চাঁদ ঢলতো শুরু করেছে, শ্রেষ্ঠী আমার অপেক্ষায়। পথ চেয়ে শূন্যশয্যায় ফিরে গেলেন জানালা থেকে, ঘোড়ায় গেলে সময় কিছুটা বাঁচবে। 

উদ্ধব ভয় পায়, বলল, না আমি যাব না, তুমি যাও।

তুমি না গেলে আমিও যাব না। 

সে কি শ্রেষ্ঠীর ডাকে যাবে না? 

না। চতুরিকা হনহন করে উল্টোদিকে হাঁটতে আরম্ভ করল, গলা তুলে বলতে লাগল, তুমি যদি পথ রোধ করো এভাবে, নগরে অভিসার বন্ধ হয়ে যাবে, এমন কখনো হয়েছে? 

উদ্ধব ঘোড়ার পিঠে না উঠে, তার রাশ টানতে টানতে অনুসরণ করল চতুরিকাকে, ডাকল, এস চতুরিকে, ফিরো না।

না ফিরব না, মিনষে তুমি পথ আটকালে আমার।

আর হবে না।

যা হয়েছে তার হ্যাপা বোঝো, এখনই হয়ত নহুষ শর্মণ আবার আসবে খবর নিতে। 

কে?  উদ্ধব দাঁড়াল বুঝি।

চতুরিকা তাকায়। তার মাথাটা ঝিমঝিম করে ওঠে। শিহরণ এল ভয়ের। দুর্বৃত্ত হয়ত বৈদ্যরাজের বাড়ি ছুটতে পারে ঘোড়া নিয়ে। বিশ্বাস নেই। নামটা কি শুনতে পেয়েছে উদ্ধব? 

উদ্ধব জিজ্ঞেস করে, কে এসেছিল দূত হয়ে?

চতুরিকা বলল, দূত নয় দূতী। 

সে কে? উদ্ধব আবার সচল হলো।  

তা তুমি জানবে কেন, আজ ঘরে এসো না, শ্রেষ্ঠী চলেও আসতে পারেন, তিনি আমাকে বাণিজ্যে নিয়ে যাবেন সহচরী করে। 

উদ্ধব দাঁড়ায়। চতুরিকা দ্রুত পায়ে নির্জন পথের উপর দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে গণিকালয়ের দিকে। তাহলে চতুরিকার কথাই সত্য। কী করে জানা যাবে সত্য না অসত্য? কার কাছে খোঁজ নেবে সে? ভাবতে ভাবতে বুড়ো ঘোড়াটিকে বোঝার মতো টানতে টানতে এগোতে থাকে উদ্ধব।                          

সমাপ্ত

 

ধ্রুবপুত্র (পর্ব এক)
ধ্রুবপুত্র (পর্ব দুই)
ধ্রুবপুত্র (পর্ব তিন)
ধ্রুবপুত্র (পর্ব চার)
ধ্রুবপুত্র (পর্ব পাঁচ)
ধ্রুবপুত্র (পর্ব ছয়)
ধ্রুবপুত্র (পর্ব সাত)
ধ্রুবপুত্র (পর্ব আট)
ধ্রুবপুত্র (পর্ব নয়)
ধ্রুবপুত্র (পর্ব দশ)
ধ্রুবপুত্র (পর্ব এগার)
ধ্রুবপুত্র (পর্ব বারো)
ধ্রুবপুত্র (পর্ব তের)
ধ্রুবপুত্র (পর্ব চৌদ্দ)
ধ্রুবপুত্র (পর্ব পনের)
ধ্রুবপুত্র (পর্ব ষোল)
ধ্রুবপুত্র (পর্ব সতের)
ধ্রুবপুত্র (পর্ব আঠারো)
ধ্রুবপুত্র (পর্ব উনিশ)
ধ্রুবপুত্র (পর্ব কুড়ি)
ধ্রুবপুত্র (পর্ব একুশ)
ধ্রুবপুত্র (পর্ব বাইশ)
ধ্রুবপুত্র (পর্ব তেইশ)
ধ্রুবপুত্র (পর্ব চব্বিশ)
ধ্রুবপুত্র (পর্ব পঁচিশ)
ধ্রুবপুত্র (পর্ব ছাব্বিশ)
ধ্রুবপুত্র (পর্ব সাতাশ)
ধ্রুবপুত্র (পর্ব আটাশ)
ধ্রুবপুত্র (পর্ব উনত্রিশ)
ধ্রুবপুত্র (পর্ব ত্রিশ)
ধ্রুবপুত্র (পর্ব একত্রিশ)
ধ্রুবপুত্র (পর্ব বত্রিশ)
ধ্রুবপুত্র (পর্ব তেত্রিশ)
ধ্রুবপুত্র (পর্ব চৌত্রিশ)
ধ্রুবপুত্র (পর্ব পঁয়ত্রিশ)
ধ্রুবপুত্র (পর্ব ছত্রিশ)
ধ্রুবপুত্র (পর্ব সাঁইত্রিশ)
ধ্রুবপুত্র (পর্ব আটত্রিশ)
ধ্রুবপুত্র (পর্ব ঊনচল্লিশ)
ধ্রুবপুত্র (পর্ব চল্লিশ)
ধ্রুবপুত্র (পর্ব একচল্লিশ)
ধ্রুবপুত্র (পর্ব বিয়াল্লিশ)
ধ্রুবপুত্র (পর্ব তেতাল্লিশ)

 

এই লেখকের অন্যান্য লেখা



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top